Sunday, October 12, 2014

কবিতাঃ বাঁকি চুমু





 

















ঘামঝরা মধ্যদুপুর; অস্থির অনুভূতির শিহরণ-
নীলপ্রাকৃতির মনোরম দৃশ্যগুলো করছে সম্বর্ধনা;
আলোকসজ্জা সেজেছে জোনাকির দল
মাঝে মাঝে দোল দিয়ে উঠছে,
কখন বা দেহ ঝাকুনি দেয়া মৃদু কম্পন,
আর কল্পনার উপলদ্ধিকর কি দীর্ঘশ্বাস?
কখন পৌছাবো! কখন পৌছাবো! গন্তব্য শিহরে।
যমুনার ঝিলিক মারা ঢেউ খেলা পারিয়ে
সাতমাথা চবুতর, তখন ঘড়ির কাটা ঠিক ১২:১৫ মিনিট;
শুধু পূর্ণিমার ঝি ঝি তারায় একলা-
উম্মাদ এক সাহস এগিয়ে চলছি গন্তব্যের বুকে
অবশেষে পৌছেয়ে গেলাম গন্তব্যে-
চারপাশ দেখি ব্যস্তময় আনন্দের হাসি
নিষ্পাপ দেহ ঘুমিয়ে আছে; বক্ষজুড়ে যেন শান্তি ।
ওর ঠোঁট,কপাল,গাল কি জানি চাওয়ার
অধীর অপেক্ষায়; এতোটুকু বুঝতে হয়নি ভুল,
পাঁজর স্পর্শে- কপালে,ঠোঁটে কতো বার দিলাম চুমু–
সেই চুমুর শিহরণে জাগ্রত হয়ে উঠবে তো,
করবে তো সে বিস্ময়কর কোন কিছুর জয়।
তেমনী করে পাবো তো এই কপালটি জুড়ে-
বাঁকি থাক না! তোর সুখ আনন্দময় চুমো;
সেই অপেক্ষায় কাটাবো, না হয় হাজার লক্ষ প্রহর,
তবু পাবো তো বিধি? বাঁকি চুমুর পরিকীর্ণ স্বাদ।



লেখার তারিখঃ ১১/১০/২০১৪
<><><><><><><><><><>



Monday, September 29, 2014

আকুক ফুল ফুটেছে

আকুক জন্মেছে ২৮/০৯/২১৪ ইং তারিখে রোজ সোমবার



এখানে মরুভূমি বালিচর, এক কষ্টময় ফুল বাগান।
আকুক নামের আরেকটা ফুল ফুটবে কোন বেলায়-
বাগানটি জুড়ে আত্মহারা,নামটি শুনে বিস্মময়!
আজো মুচকি হাসে আলফি রেখেছে ফুলের নামটি
ভাবতে নামের মাঝে প্রাণচঞ্চল খুঁজেফিরে তন্ময়!
আরো কিছু সময় নাকি বাঁকি না-আকুক ফুটেছে আজি ।
তুমি যখন ফুটলে স্লিগ্ধময় প্রভারাঙা চারিধার দেখলে
গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে তুললে ঠোঁটে চু্মুর বন্যায় ডুবলে
বাঁকি রইল শুধু একটি, সেটাও পাবে ঘুমন্তময় ঠোঁটে
কান্না হাসির ঝড়টা থামবে না জোয়ার ভাটা ঐখানে ।
দিনের শুরু পথে ধিরে ধিরে বারবে পূথিবীর নানারূপী
উমায় ঠিক যেমন খলশে মাছের মতো খিলবিলিয়ে
চেংক মাছের ন্যায় যেখানে সেখানে করবে লাফলাফি।
ঘোরদুপুরে জলপাই বুলবুল,নীল ছটক পাখিদের সাথে
উড়ে বেড়ানি আর গান গাওয়ার নেশায় রবে ছুটাছুটি-
ফিরতি সন্ধ্যাময় অমাবস্যার রাতের কালোমেঘ চিনবি
পূর্ণিমার আলোয় আলোকিত বক্ষভিঠায় রাঙীয়ে দিস
ক্লান্তিময় এক একটা বালির বিন্দুকোণা করবে ঝিকিমিকি
নামকরণ স্বার্থকতা ছড়িয়ে যাবে পুষ্পসার অন্ত আকুক।


লেখার তারিখঃ ২৪/0৯/২০১৪
<><><><><><><><><><><>

Saturday, September 20, 2014

বনোপায়রার শ্লোগান




আজ প্রভাতী পাহাড়টার ঐখানে মৃদু হাওয়া
মুখরিত অষ্টচরণে বনোপায়রার শ্লোগান;
অজানতেই ফুটেছিল বেলীফুলের বাগান,
সে ফুল ঝরা পাঁপড়িগুলোর মায়াময় ঝর্ণা-
প্রবাহমান ঢেউয়ে ছেঁড়া সেতারের গঞ্জনা।
নিশিচর রাতের আশ্চর্য এক স্বপ্ন বীর
টারজানরুপী হু –হু –হ হু সুরা কণ্ঠের মঞ্জনা
চন্দ্রময় আনন্দধারায় শিম্পাঞ্জি বানর।
গেওয়া সুন্দরী উম্মাদনার দৃশ্য প্রভাতে রাঙা‐
চন্দন গাছের কাঠ কাঠের মাটাম শুকে গেছে
নিশিপ্রহরে ধু ধু এক ধোঁয়ার আঁছড়
সীমান্তের চূড়ায় ঝিমধরা কম্পন বেড়ে যায়
তবু্ও মৃত্যদৃষ্টিপাতে মুখরিত বনোপায়রার শ্লোগান।



লেখার তারিখঃ 16/09/14

Saturday, September 13, 2014

দুই কুঠরির এক ছাউনি


আমার বক্ষপাড়ায় দুই কুঠরি
কুঠরি দুটর একটাই হল ছাউনি-
সেই না ছাউনির উঠান জুড়ে
জ্বালাবে বলো চাঁদের প্রদীপখানি;
আমার বক্ষপাড়ায় দুই কুঠরি।।

মনিকাঞ্চনমালার বাগান গড়বি
তাইতো স্বপ্ন দেখি আশারো আশি-
ঐনা স্বর্ণ ফুল ফুটে জানি বার মাসে
সু-গন্ধি ছড়িয়ে হবে শুধু প্রভাতী ।।

কখনো হয় যদি অমাবস্যর কালি
কালিরধারায় কলঙ্কমাখা হবে নদী
সেই না নদের উত্তাল স্রোত  বয়বে
স্রোতের ঢেউয়ে ভেঙ্গে যাবে ছাউনি ।।

শুনস নি শুনস নি তোরা সেই কাহিণী
কাহিণীর কালোমেঘে ঝরবে শুধু নোনা
ফোটার আর্তনাদের ঝনঝনি ঝনঝনি ।
আমার বক্ষপাড়ায় দুই কুঠরি।।


লেখারতারিখঃ  13/09/14
<><><><><><><><><><>>

Wednesday, September 10, 2014

নিশি বন্ধন মায়া












অন্ধ হয়ে যাচ্ছে
এসবুজ সোনালী চারিধার;
ফুরিয়েও যাচ্ছে
স্লিগ্ধময় প্রণয়ের গভীরতা।
নাকের সর্দিজল
বড়ই ভয়ঙ্কর, কোন সুগন্ধির
সৌভাস পাওয়া
যাচ্ছে না বকুল হাসনাহেনা;
সর্বঅঙ্গ লুটে পরেছে
ঝরে যাওয়া পাঁপড়ির মতো
ফুলদানিটাও নাকি
ভেঙ্গে পরেছে সেখানে এত অনাদর;
বাঁশ বাগানের তলায়
জোনাক জ্বলে নিশি মায়ায়,
আর্তনাদের বন্ধন
থামবে না ঝিরিঝিরি বাতায়ণ।





 

লেখার তারিখঃ ২২/০৪/১৪
<><><><><><><><><><>

Tuesday, September 9, 2014

বন্ধুর সুখ





বন্ধু আমার জানিস তুই বহমান রক্তকোষ
হৃপিণ্ডের আনন্দ বহর সু-নিঃশ্বাস;
বন্ধু আমার বাবা মা জানের সিন্ধু,
স্কুলকলেজ কর্ম সময়ের সহ-পাঠিবৃন্দ।
চলতে ফিরতে পূর্ণিমার জোছন্সা রাতে
শত বার স্মৃতিমুখর একলা জেগে রই;
কতবন্ধু হারিয়ে হলো দূর্বাঘাসের ফুল
খুঁজি ফিরি শ্রাবণ মেঘের কাছে সুর
টুপুরটাপুর বৃষ্টিভিজা আড্ডার ছুঁয়া কুল।
বন্ধু আমার রইল শুধু প্রেমডাঙ্গার বুক
হিংসাদন্ড রাগ অভিমান ভুলি জীবনক্ষণ
ক্লান্তিসুখের ধূলিবালি রাস্তার পাশে ব্যস্ত মুখ
ভুবনতরী গড়ি সবে শান্তির নিকুঞ্জ মন
বন্ধু আমার বিলিয়ে দেই স্বজনতরে সুখ।



লেখার তারিখঃ ০৬//১৪
<><><><><><><><><><><>

Monday, September 8, 2014

ডুমুরফুল



( ছবিটা নেট থেকে সংগ্রহ)

এক অভয়ারন্য ঝর্ণা ধারার দু’চোখ জুড়ে
একটু কি ফাল্গুনের হাসি দেখোনি ঐখানে-
গোলাপ জবা ফুটতো নিত্যই হতো সুগন্ধির খেলা।
ডেফলতলায় ডেফল ফলে হলুদ স্বাদে রাঙা।
রোজ দেখেছো কত ফুল ! একটু ও দেখনি ডুমুরফুল
কি ভাবে দেখবে বলো? হয় নি তো প্রণয়ের নিঃঘুম?
ডুমুরফুলের সৌন্দয্য সৌরভ শুধু একাকিত্বের নিলাম
পূর্ণিমার মধ্যপ্রহরে একাই অদৃশ্যর ডুমুর রইলাম।
সেটা ভালই জানো ডুমুরফুল দেখলে শুভাগের
কপাল নাকি খুলে- আঙ্গীনায় ছিল যে ফুটে
চাঁদের হাসি যেনো মুচকি মুচকি ঠোঁট রাঙীয়ে দোলে-
নিঠুর ব্যস্তবতার সমীক্ষে ভাবলে শুধু ডুমুরফুল;
মূল্য কত দিলে না যত এখানে ছিল যত্নে মুকুল।



লেখার তারিখঃ 08/09/2014
 <><><><><><><><><><>