Saturday, November 3, 2012

৩য় কাব্যগ্রন্থঃ কি সু-মধুর মিষ্টি আওয়াজ

৩য় কাব্যগ্রন্থঃ  কি সু-মধুর  মিষ্টি আওয়াজ
                                                         





                                                                                আলমগীর সরকার লিটন


শরতের আর্তনাদ

ফুরফুরা পুরপুরা শরত কখনো
আসেনি জ্যোন্সা ভরা আলোয়
ঝিরঝির মিটমিট করে জ্বলেনি,
কাশবন দোললির মত দোলছিল
ধুধু বালি চরে কোন এক প্রান্তে
বিষাদে বিষাদে শুধু ঝরছিল                          
শরত আসবে বলে অপেক্ষার দ্বারে
হাহাকার দেখে সাদা মেঘের আকাশ
প্রাণটা জুড়ে দেয়না হীম শীতল
একটু শরতের স্পর্শ করা বাতাস,
আজও সুর তুলে শরত এসে যায়
কত না আনন্দে মুখরিত হাওয়ায়।

খুঁলা আকাশে ঐ নীল সাদা মেঘে
চির সবুজ অরণ্যের মাটে ঘাটে
করতে মিতাল কি জানি এক
বুক ভাঙ্গা আঁধারের আর্তনাদ
কাকে করবো প্রশ্ন?বর্ষা বলো
কেনো আজও বয়ছে জলপ্রপাত।


লেখার তারিখঃ ০৮/১০/১২



রুহু যাবে হজ্বে

শোনেছো কি জেনেছো কি
মিস্টি আওয়াজে দৃস্টির আলোকে
আমি জেনেছি রুহু নামের
জগত আছে ঐ পারেতে
ও বন্ধু ঐ পারেতে,
বিশ্বাসে রেখনা দ্বার বন্ধ
জেনে রাখ রুহু যাবে হজ্ব করতে
স্রস্টার কৃপায় যে রুহু
ইব্রাহিমের মধুর কন্ঠে ধবণি
‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইশুনতে পাবে,
সেই রুহু কাবা ঘরে হজ্ব পালন
করতে আসবে হায় হজ্ব করতে যাবে 
আমি পাপি দিনও ভিক্ষারি
দিনরাতি করি যে মিনতি
ও রুহু রূপে ছিলাম যখন,
শুনেছি কি ইব্রাহিমের কন্ঠে
তুলা সেই মধুর ধবণি
শোনে থাকিলে নিয়ে চলো
কাবা ঘরে হজ্ব করতে
বিধানে আছে পাঁচটি ফরজ
নিমেষে একটি ফরজ পালন হবে,
আমায় নিয়ে চলো কাবা ঘরে
ও বিধাতা পূর্ণ কর মানব সংসারে।




অনুকরণ

দুপায়েজুঁতা জুড়া লুকিয়া
চান্দু মশায় বলে চোর
অন্যের অনুকরণ করিয়া
চান্দু মশায় বলে ওরে গবর,
আমি চোরও বুঝি না
গবর তো দেখি না
চলতে ফিরতে পায়ে লাগতে
পারে এক চুমটি গবর।

পাড়ায় মোহল্লায় হৈ হুল্লো
করে কি আছে বলার
কি আছে অনুকরণ করার,
নিজের মাঝে না থাকলে
নিত্য নতুন জ্ঞানের ভান্ডার
ছন্দ মাত্রার নেই দরকার।
কে মানে বাবা হাঁটু জল‘পিচু
লোকে কিছু বলে’বলবেই বল।

জুতাও দেখি গবরও দেখি
দেখি কত অনুকরণ,কে বলেছে
ধরতে হবে গুরুর ও চরণ
মন্দ কথায় কি যায় আছে,
না বুঝলে ভাববিশ্লেষণ,
যা শিখেছি করবো না আর
কারো অনুকরণ সমীকরণ
চান্দু মশায়ের মন্দ গন্ধের
কি যায় আছে


লেখার তারিখঃ ০৯/১০/১২


অপরূপ ছুঁয়া

আঁধারের ঘোন ঘাঁটা
হিমশীতল নীল মেঘে
মেখে যাচ্ছে অপরূপ
এক ছুঁয়া। ঠিক
তখনী কি দারুণ
মুক্ত কণ্ঠে সুর বেজে
উঠে কি করুণ।
এক আনন্দ ক্ষণে
অশ্রু সিক্তে মাগবিবের
সুমধুর আযানের ধবংণির
সাথে মিশে যাচ্ছে
কমল ঠোঁট দুইটিতে
কি মিষ্টি হাসি
উছলে পরছে।তবুও
এক হত্যাশ হাহাকারে
কি জানি তার বিষাদ,
তবুও যাছে ছুঁয়ে ছুঁয়ে।


লেখার তারিখঃ ১০/১০/১২



দুঃখ আছে কোথায়

শিশু সাহিত্যের জন্য


হেসে খেলে দিনগুলো
তোর যাচ্ছে কেটে
ভীষণ আনন্দ উল্লাসে
জানিছ না কোথায় জানি
এক চুমটি দুঃখ লুকে আছে।
ভাবতোও পারিছ না
বুঝতোও জানিছ না,
আধুনিকের ছুঁয়া যাচ্ছে লেগে
তাতেই বুঝি যাছ না ভুলে
দুঃখ জয়ের ভেলে ভেসে
হচ্ছ না কোখন হত্যাশ
সততা নিষ্ঠার মাঝে
বিপদ এলে শক্ত করে
ধৈর্য ধরিছ,জানতে চাছনা
দুঃখ আছে কোথায় ঐ মলয়
চোখের ঝলমল জল ঝরা
এ মনির মায়ার মাঝে।


লেখার তারিখঃ ১১/১০/১২



বানরটা মহারাজ

আশরাফুল মোকলুকাত
হয়েও তুমি বলছো
চতুস্পদ হিংস জানয়ার
ভাবের মাঝে আছে বানর,
মনের চিন্তার মাঝে না
থাকিলে কান্ড জ্ঞান কি করে
থাকবে বুঝারও ধ্যান।
মহা পন্ডিত ভেবে ভুলে
গেছে মোকলুকাতের মূল্যবোধ
যাকে তাকে কর অবজ্ঞা
রাগ টাগ হিংসার নেই
যেনো বাঁধ। একটু বলেই
বানরটা হয়ে যায় মহারাজ। 




লেখার তারিখঃ ১১/১০/১২



উল্টো ভল্টো ভন্ড কথা

উল্টো লোকের
কি উল্টো কথা
কেউ কি শুনে তাহা
কেউ কি শুনে দেয়
বাহা উল্টো ভল্টো
ওরে ভন্ড কথা।।

হ্যায় ভন্ড মনের
আধিকারি ছাড়া
তারা কি আর বুঝবে
খোদা প্রেমের আত্মহারা
গরীব ধনী সবাই সমান
না শুনিলে ইব্রাহিমের
মধুর কণ্ঠে আমন্ত্রণ,
যতোই থাক ধনসস্পদ
যাওয়া হবেনা কাবাঘর
রুহু মাঝে শুনলে নিমন্ত্রণ
যাইবে রুহু কাবা ঘর।।

বলেছেন খোদা আল্লাহ
রাসুলগণ কোরআন হাদিছে
মিলেছে তাহার প্রমান,
না মানিলে মর্মো কথা
ভণ্ডরা বলবেই তো
আবল তাবল ভন্ড কথা 
আল্লাহ্‌রাসুলের প্রেমিক ছাড়া
বোম মারিলোও ফুটবেনা
ভন্ড সারির মন্দ কথা
উল্টো সারির উল্টো কথা।। 


লেখার তারিখঃ ১৩/১০/১২



এক চিৎকার

বাঙ্গালি যমুনা এখন
ক্ষীপ্ত গতীতে বয়ে চলছে
যেখানে শুধু ভাঙ্গার খেলা
সেখানে আমার জন্মভুমি
কত স্মৃতি কত বিস্মৃতি
এখন ভাসায় এখন কাঁদায়
চলনা সেখানে যায়।
ধু ধু বালুচর দেখবে
দেখবে আর আত্মচিতকার
হাহাকার চলো এক বার,
জন্মভুমি কে ভুলে যাবে
এটাই কি স্বাভাবিক।
না না আজও চিতকারের
আওয়াজ শুনে খুব কাছে
যেতে চাই কিন্তু ক্ষীপ্ত আবেগ
কি আর এখন পারে শুহু
মাঝে মাঝে চিতকার করে।




লেখার তারিখঃ ১৩/১০/১২



একটি মাটির ঘর

এক কাল জয়ী মুত্যূ
কখনো করেনা কেনো
আপষ ভরা সিন্ধু,গভীর
থেকে গভীর তরে নিমেষে
ভুলে যাই চির সত্যের
আবেগ ছুঁয়া কি বোধ,
এক সেকেন্ডে ক্ষীপ্ত জোয়ারে
ভেসে তুলে কি জানি এক ক্রোধ।
মনের সিক্ত জলে ভেসে বেরায়
করুণ শব্দে ঝলঝল কলকল
ভয়ের বিষাদ উধব রেখে কোথায়
হবে বিশুদ্ধ ঘুমের শান্তি বল।
ওরা যদি না দেয় একটি মাটির ঘর
সাড়ে তিন হাত মাটির বিছানা
ওরে মুত্যূ আমায় কর না হয় পর,
তোকে নিয়ে নেই কোন প্রশ্ন দেখেছি 
কত শিশির ভেজা মাটির ঘর
তুই বড় সত্য তুই বড় ক্ষীপ্ত,
তোকে বুঝেছি গভীর ঘুমের মাঝে
সিক্ত জলে ভেজা ভোর।




লেখার তারিখঃ /১০/১২



মৃত্যু নয় পর

বন্ধু বান্ধব ভাই বোন
হতোও পারে পর কিন্তু
এক কাল জয়ী মৃত্যু
কখনো পারেনা করেনা
কেনো আপষ ভরা সিন্ধু,গভীর
থেকে গভীর তরে নিমেষে
ভুলে যাই চির সত্যের বন্ধন
আবেগ ছুঁয়া কি বোধ,
এক সেকেন্ডে ক্ষীপ্ত জোয়ারে
ভেসে তুলে কি জানি এক ক্রোধ।
মনের সিক্ত জলে ভেসে বেরায়
করুণ শব্দে ঝলঝল কলকল
ভয়ের বিষাদ উধব রেখে কোথায়
হবে বিশুদ্ধ ঘুমের শান্তি বল।
প্রেম ভালবাসা হয়ে যায় পর
ওরে মৃত্যু আমায় কর না পর,
তোকে নিয়ে নেই কোন প্রশ্ন  
তুই বড় সত্য তুই বড় ক্ষীপ্ত,
তোকে বুঝেছি গভীর ঘুমের
মাঝে সিক্ত জলে ভেজা ভোরে


লেখার তারিখঃ /১০/১২



হাসিটুকু  লাবণ্য

তোর রুপালী মুখের বর্ণ
চলা ফিরা কি ধন্য
সকাল হলে দেখি যেনো
ঠিক মায়ের মতন
গোধূলীর লগ্নে আবার
একবার দেখি বাবার মতন।

কি মলিন চিয়াহারা
সৃষ্টি করছে আল্লাহ্‌য়
এক বার দেখলেই মুছে
যায় দুঃখ সকল ক্লান্তি
কি মায়ায় ঝরছে তোর
হাসি টুকু সবি লাবণ্য।

মাঝে মাঝে কি এমনি
সুর তুলিছ বাপু আকাশ
কান্দে বাতাস বয়হে
কি জানি করে দিয়ে কাবু
তবু কেনো ভাল লাগে এযেনো
আল্লাহর নিয়মতের বন্ধন। 



লেখার তারিখঃ ১৫/১০/১২


ঐ দীঘির জল

কখনো ভুল করে করনা প্রশ্ন
সারা বেলা সারা দিন মুখে
মাখ হাজার শ্নোর গন্ধ,
আলোই উজ্জ্বল ক্লান্তি শেষে
ক্রান্তিনিশির অপেক্ষায় ভোর
আসে ভেসে উঠে রিক্তিম সূর্য
সূর্যের সাথে কর না হয় স্নান।
সব প্রশ্নের উত্তর লুকে আছে,
আম জাম গাছের ডালে ডাল
শ্যাওলা ভাসা কচুরিপানার ফুলে
ফুটা ঐ দীঘির জল, ও গাঁয়ের
রঙ সবুজ শ্যামল।তাহার মাঝে
জেনে নিয়,সবি করেছে নিঃস্বার্থ
ভাবে ত্যাগ বসন্ত ফাগ্লুনের নাই
রে মেঘ,ভাবনা ত্যাগ কর মানে
পরাজয় ত্যাগের মাঝে সুখ শান্তির
উঠবে ভরে মনের হবে জয়।



লেখার তারিখঃ ১৫/১০/১২


ধরণির বুকে ক্রোধ ভীষণ

জানেও জানি না
বুঝেও বুঝি না
আবেগী মন করে
লাল নীল সবুজ
ধরণীর বুকে হ্যায়
ক্রোধ ভীষণ।।

মনের রাগটা
থেমে গেলে
ভুলটা বুঝতে
পারলে হৃদয়ের
মাঝে শান্তি
বিরাজ করে
লোকের কাছে
পাওয়া যায়
এতোটুকু সম্মান।।

জ্ঞান ভান্ডারের
প্রয়াস গুলি
ছড়িয়ে দাও
মুছিয়ে দাও
আঁধারে মাখা
শত কালি
আর নয়
ধবংশের নিশান
মহামারী মহাসমুদ্রে
ভেসে যাওয়া
কোন প্লাবন ।।





লেখার তারিখঃ ১৬/১০/১২


বাউল আলমগীর

ভাই রে ভাই ও ভাই
একটা কথা শুনায়
যাহার ছিল কত নাম
ডাক ইতিহাসে কয়,
নামটি তার সবাই জানি
বাদশা আলমগির ভাই
আলমগীর নামে সবি বাউল
কেহ নাই বাউল কেহ নাই ।

তাহার মতন বাউল দেশে
ছিলেন চাষি আলমগির
এখন দেখি ফকির আলমগীর
নায়ক আলমগীর আরও
জ্ঞানিগুণী কত আলমগির।
কিন্তু ভাই একটা কথা বলি
বাউল আলমগীর নাই কোথায়?
শত মানুষের মাঝে খুঁজে পেলো
বাউল আলমগীর বাউল আলমগীর
নাসির আহমেদ কাবুল ভাই কয়।

লেখার মাঝে বাউল বাউল
আছে ভাব দাদা গুরু কয়
পাঠক কি?তা বুঝতে পায়
ভাবচিন্তায় নাকি বাউল হয়
তার কি হবো কতটুকু তুল্যো
এই পরিচয় কপালে কি সহ
বিধির কৃপা যদি গো পায়   
সন্তোষ অর্জনের সদয় প্রস্তুত
থাকবো,বাউল মন বানায়।




লেখার তারিখঃ ১৬/১০/১২



নাই গন্ধ ঝরা বাঁধ

রোজ প্রভাতে
সূর্য উঠে
রাত্রিতে চাঁদ
তুমি আমার
আসমান জুড়ে
শুদ্ধ ফুটা গোলাপ
(তোর নাই কোন)
নাই রে তোর
গন্ধ ঝরা বাধ।

দিনে দেখাও
উজ্জ্বল ধূসর
রাতে শো শো
ভরা আঁধার,
দু’য়ের মাঝে
খেলে বেড়ায়
আধারেও তুমি
ধূসরও তুমি,
তুমি ছাড়া
নাই রে গতী
পার হবো না
ফুলছিতে রীতি।

তোমার জন্যে
পেলাম কোরানের
মিষ্টি মধুর ধবণি
শুদ্ধ অশুদ্ধ উচ্চারণে
হচ্ছে বিভক্তি যে
কবুল করার করবে
কবুল সুন্নি শিয়ার কি,
নিজের ভুল যায়না ধরা
পড়লে আইন আমরা।


লেখার তারিখঃ ১৭/১০/১২


মহতের হয় সরবন

জানি জানি জানি
দুঃখ ব্যথা লটাবে
না হয় লোনা জল
এক বিন্দু ঝরবে
সাধন ভোজনে নাকি  
আরাধনা মিলবে।

তাই বলে চরণ তলে
স্মৃতি গুলি আর
রেখনা কোন ভুলে
ভুল তো নয় কোন দন্ড
অতীতকে অতিথি করে
স্মরণে এনো দক্ষিণা
বারান্দায় তবে।

জীবন তো নয়
শুধু ভবিষ্যতের চিন্তা
বিধির হাতে জিন্দা
জীবন তো অতীত
বর্তমান নিয়ে ঘীরা
অতীতকে আনলে মনে
মহতের সরবন হবে



লেখার তারিখঃ ১৮/১০/১২



কেউ করবেনা খর্বতা

বল ভাই ব্যস্তবয়তা কোথায়?
সমুদ্রে ঢেউয়ের কোন বিন্দু জলে,
নাকি ধু-ধু প্রান্তে উত্তপ্ত বালি চরে।
সেখানে নিঃস্বার্থ ভাবে পরে আছে
অসংখ্যা ব্যস্তব, দিনে দিনে ক্ষীন
ভয়ে ফুটছে না সুগন্ধ ভরা ফুল।
কলিগুলো শুধু ঝরছে মরমর শব্দে,
বাকস্বাধীনর চেতনা হচ্ছে ধবংশ
ব্যস্তবয়তার মুখ দ্বারে মধু চন্দন
রাঙ্গায় কি অন্ধ?শুভো ধবণি কোথায়।
ছলনা কলনা মায়া বতা আর কত
শিখাতে চায়,তবে ব্যস্তবয়তা তুমি
এটাই মুখ নাক দিয়ে কভু বিশুদ্ধ
নিঃশ্বাস বয় না,উত্তর দক্ষিণ মাটির
কোণটাই বুঝি ব্যস্তবয়তা,কেউ করবেনা
কোন কাজের খর্বতা,শ্রুতিহীন প্রতিষ্ঠা।




লেখার তারিখঃ ২০/১০/১২




আত্মত্যাগের মহিমা


চল ভাই চল এখানে
রক্ত মাংসে করি খেলা
সময় আজ এসেছে চল,
এ খেলা নয় খেলা নয়
ভাই,যেনো আত্ম ত্যাগের
মহিমায় তৃপ্তি ভরা উজ্জ্বল।  

বিধাতার কি?পরীক্ষার
খেলা  চতুস্পদ না হয়ে
যদি,দুইস্পদ হতো,ভাবতে
গা শিংরে উঠে সারা বেলা।
আজ নিজেই হতে কি বল
কোরবান?তিনি যে মহান।

ও ভাই ঠাট্টা নয়,তামাশা নয়
নয় কোন প্রসিদ্ধ মাংস ছেড়া,
স্রষ্টার তৃপ্তি যদিনা হয় মেটা,
তবে কি হবে লোক দেখানো
রক্ত মাংসের খেলা,শুধু বণ্টনের
মেলা,সময় এসেছে আত্মত্যাগী
হয়ে সন্তোষ অর্জনের খেলা ।







লেখার তারিখঃ ২০/১০/১২



হেমন্তের ঝিলমিল হাওয়া 

যমুনা কখনো উত্তপ্ত প্রেমাত্মা
কখনো বা হিমেল শীতল,
শান্ত জলের একস্তর চিরসুবজ
শাওলার ছত্রাগুলো হেমন্তের
হাওয়ায় যেনো ঝিলমিল ঝিল
মিল করে ভেসে যাওয়া।
অন্তর চক্ষু দিয়ে না দেখলে
বিশ্বাসের ঘরে মুগ্ধ হবে  না
শাওলার যৌবন ফিরে পায়
সাদাকাঁশবন শিস দিয়ে যখন।

উত্তপ্ত বালিচরে সাদাকাঁশবনে
ফুটা কাঁশ ফুলের সৌন্দর্যের
ঢেউ তুলে আহবান জানাই
অসমাপ্ত শীতল পায়ে নেচে
বেড়ানো নীল রঙ ছড়ানো
হেমন্ত,হেমন্তের শুভ আগমনে,গুপ্ত
গোহায় লুকে থাকা আনন্দহীন
নীলে নীল বিষধর কালনাগিনী।

কালনাগীনির বিষাক্ত ছোবলে
চির সবুজ অরন্যের মাঝে
ভুমি কাপানো চিতকারে ঐ
কাঁশবনে ঐ শাওলার সাথে
গরগরি দিয়ে ভাসে,দু’চোখের
কুয়াশায় বুকে বরফ হয়ে হেমন্ত
হাসে,কাঁন্না ঝরানো চরের বুকে
স্মৃতির হয়ে বারে বারে হেমন্ত
আসে,ভাঙ্গা দ্বারে জলের ধারে।





লেখার তারিখঃ ২২/১০/১২


এক রঙ্গিন ভেলা

হাহাকের তুমি,অহংকারে তুমি,
তীব্র ভাঙ্গনে তুমি,বিষাদে তুমি,
নিশিপ্রহরে যমুনার নিস্তদ্ধ ঢেউয়ে
ভেসে যাওয়া তুমি,তুমিই চৈত্রের
খরা দুপুর,’বল বল তুমি নেই
কোথায়?তুমি ঝরনা ঝরা ধারায়
তুমি পূর্ব আকাশে রিক্তিম সূর্য।
আমাবস্যার রাত ভরা তারায়
স্মৃতিরা কান্দে দেখি চাঁদ,পিপাসা
ক্লান্ত,গরম লুনা জলে একবিন্দে তুমি। 
তুমি উচ্চবিলাসি এক রঙ্গিন ভেলা।






লেখার তারিখঃ ২২/১০/১২



তোর নন্দিত দাদু

শোন রে আলফি শোন
তোর একটা দাদুছিল,
নামটি তাহার হুমায়ূন আহমেদ
হঠাৎ করে,নীল লতার
সাথে মিশে গেছে,
ফিরে না হি আর আসে।

বড় হয়ে জানবি বাপু
পড়বি তাহার নামিদামি
কত বই পুস্তক,শোন বাপু
সাড়া বাংলাদেশ জুড়ে তিনি
হলো নন্দিত কথাসাহিত্যিক
মৃত্যূকে করে গেলেন সাবার
মনের কাছে মৃত্যুঞ্জয়ী।




লেখার তারিখঃ   21/07/12


বাঙ্গালি তোর বাবা মা

হয় জানি বাবা তোর
মুখে বলা সাড়া ক্ষণ
পষ্টো ভাষা বাংলা
বাঙ্গালি তোর বাবা মা
আর আত্মস্বজন।

বাংলা ভাষার রক্তের দানা
লেগে আছে লাল সবুজের প্রন্থে
বুঝবি তুই বৃদ্ধি খানে
রোজ প্রভাতে সূর্য উঠে
শিশির ভিজা প্রন্থে।





ঈদের ফ্যাশন

দুষ্ট ছেলে আলফি সরকার
ফ্যাশন দেখে দেখে একাকার
কিনবে সে আজ ঈদ ফ্যাশন
আনন্দে উড়াবে ঈদের নিশান।

ধৈয্য আর কাটছে না দিনরাত
গুণেগুণে যাচ্ছে ভেঙ্গে মনের বাদ
দেখবো কখন বাবা ঈদেরি চাঁদ
দেখাবো পরেছি ঈদের ফ্যাশন।

হাসবে দেখে দাদু আর দাদী
আরও বুঝি পাড়া প্রতিবেশী
বন্ধুরা সব দেখে ঠোঁট উল্টাবে
হিংসায় তাদের গা শিশি করবে।






সুখতারা ভাসে


পূর্ণিমা সুখতারা ভেবে
না হয় আমায় দেখবে
কালো মেঘের সাথে নুনা
জল না হয় একটু ঝরাবে।

শত বছরের কষ্ট স্মৃতি
সুখের তরে ভুলে জ্যোতি
সুখতারা আর নাহি ভাসে
কষ্টের নীল যে পাশে ।




কারো সয় না


টিয়া চায় পরিতে গয়না
ময়না বলে ওরে আয়না
কালো চিকচিকে পানকৌড়ি
বলে আমার সাথে ডুব দিয়ে
যা না,মনতে হিংসা রাখিওনা।

সাদা কোবিতর পায়রা বলে
কথায় কথায় শান্তি উড়ায়
শান্তি তো আর বয় না,
দোয়েল বলে আমি জাতীয় পাখি
তাই বুঝি কারো সয় না।







লেখার তারিখঃ 12/07/12


পূর্ণিমা রঙ নীল

আকাশ জুড়ে তারার মেলা
মেলা জুড়ে খোকন সোনা
জ্বলছে দেখ জোনাক ভূমা
চাঁদের মুখে হাসি গুনা
ঝলছে উঠেছে পূর্ণিমা ।
কি কারণে কি আনন্দে
দেখছে কারা সুখ তারা
শোক বাতাসে খোকন সোনা
চেয়ে চেয়ে থাকো
পূর্ণিমা রঙ নীল খুজো ।

লেখার তারিখঃ ০৫/০৭/১২



ওরে বাবা ভয়

বাঘ মামা সিংহ মামা
আরেক মামা ভাল্লুক
তিন মামার গল্প শুনে
আলফির কাঁপে বুক।
সারা দিনের দুস্টমি
আর ভীষণ চঞ্চলতায়
পুষাপাখি তোতা বলে
অসহ্য যন্ত্রনা কষ্ট পাই
আর মের না বাবু কামর
ঐই যে হায়না এলো
তাই না ভেবে গলা সাপ্টে
ধরে বলে ওরে বাবা ভয়
আর দিবো না কামর
তিন মামা মিলে বলে
ও বাবা ন্ম্র ভদ্র হয়
আর মেরো না অচর ।




লেখার তারিখঃ  28/06/12



বেঁকা ঠোঁটের হাসি


আলফি বাবুর হাসি দেখে
চাঁদ হাসে ভাই বেঁকা ঠোঁটে
এতো হাসির কারণটা
সে কি?জানে ভাই,
আজ যে আসছে আলফির
আন্টি,তাই তো আনন্দে নাচে ।

এতো নাচারের বাহার দেখে
দোয়েল শ্যমা আর টিয়া
সুর তুলে গান গায় আলফি
বাবু আর কি চাই,আন্টির
সাথে মার্কেটে যাবে কিনবে
কতো খেলনা তাই তো বেঁকা
ঠোঁটে হাসির এতো বনা ।





লেখার তারিখঃ 14/06/12


জিন বাজায় বিন তাক ধিনাধিন


নীল আকাশ থেকে
নেমে এলোরে ভাই
আলফি নামের শ্যম
বর্ণের চঞ্চল ধরনের জিন
যার তার সাথে বাজায়
তাক ধিনা ধিন বিন ।

চঞ্চল শ্যমবর্ণ জীনরে ভাই
দাঁত গুলো দেখতে ইদুর
শোলের মত চিক চিকে
যাকে তাকে ভয় নাহি করে
বসায়রে ভাই যুরে কামর ।

তাই না দেখেরে ভাই
চাঁদের বুড়ি খিলিবিলি হাসে
ভয় নাহি যে পায়,
দুষ্টমিতে মেতে উঠেরে ভাই
তারাও যে হাসে
জিন তাই ডানা মেলে উড়ে।





লেখার তারিখঃ 21/06/12




বাবা ডাক

বউটার বাবা নাই
পারতো না ডাকতে বাবা
বাবা চাই বাবা চাই
বলে পেতো মনে ভীষণ ব্যথা,
বিস্ময় করে আলফি এলো
জুড়ে দিল সকল কষ্ট।
যখন তখন রাতদুপুরে চিকন
কিংবা মোটা সুরে ডাকছে বাবা
তাই না দেখে আলফি সরকার
আনন্দে উল্লাসে আত্মহারা,
একটুতেই ছিল্লি(জেদ)ধরে
ঐটা কিনা দিবা। 




লেখার তারিখঃ 04/10/12



চলছে দেখো ঘোড়াগাড়ি


দেখো বাবু দেখো তারাতারি
চলছে আলফির ঘোড়ার গাড়ি
টকবোক টকবোক শব্দ গুরি
ঘুড়ছি কত দেবো যে আড়ি
হাঁ ঐ দেখা যায় দাদু বাড়ি।

দাদু বাড়ির বিড়াল ছানা
দুষ্টো ভীষণ ছিল আজানা
আনন্দে কি? কুকুর ছানা,
সারা বাড়ির উঠান জুড়ে
ডাকছে মোরগ কুকরুকু সুরে।

তাই না দেখে ভীষণ খুশি
খুশির ফাঁকে বাজায় বাঁশি
বাশির সুর শুনছে দেখো
গুরার সাথে বাঁধা আছে
লাল টুকটুক বাছুর গাভী,
গাভীর দুধে প্রাণটা জুরায়
পুকুর ভরা মাছ রুই কাতলা
বুয়াল দেখে চোখ ধাঁদায়।




ঝলমল বাবু

লেগেছে লেগেছে বাবু
কার্তিকের ঝলমল মিষ্টি হাওয়া,
আত্মত্যাগে হয়ে উঠুক মহিমান্ত
অগ্রহায়ণের মত ঝলমল মায়া।
মিষ্টি রোদে মিষ্টি মনে
প্রতিদিন রাত বয়ে যাক
ঈদের মত হাসি খুশি আনন্দ,
সবি জানি সবি বুঝি বাবু
তবুও পাগলা আবেগ মাঝে
মাঝে উছলিয়া পরে রাগের
টগবগ ঝলমল হিংসপ্রতিক্রিয়া।
একটু কি?শীতল করা যায় না
মন ভরে আছে যত অশুভ কন্দল,
রজনীগন্ধার মত এখনি ফুটে তুল
সাদা মনের সাদা কাজকর্ম,বে-রঙ্গীন
শত গল্প ভুলে গড়ে তুলি নতুন দিনের
অল্পস্বল্প স্বপ্ন,এই যেনো হয়ে উঠুক
সম্বোধনের ঝলমল বাবু। 


লেখার তারিখঃ ৩১/১০/১২



নিমগাছের পেত্নি

(অঞ্চলিক ভাষায় ছড়া)
হামাগিরে নিমতলা নিম গাছে
শ্যামলা কালো পেত্নী খিলবিলে
করে রোজ হাসে,তাই না দেখে
আলফি বাবু গোয়াল ঘরে ডুকে
হাওলে মানটি নিয়ে তারা করে।

পেত্নী তখন ভয়ে,দৌড় দেওয়ার
সময়ে,কাঁঠল পাঁকার গুন্ধ পাইয়ে
কাঁঠল গাছে চরে,খায় কত ওয়া
আলফি বাবু ফুসলে ফুসালে বলে
দস্তো হামার এডা দি না ওয়া।

কালো পেত্নী খিলখিলেয়ে হাসে
উঠে বলে,হাওলে মানটি দিয়ে
হামাক মারবে,দস্তো তুই নিম
গাছের নিম ফুল দিবে,আর মার
মুনা তুকে,ফুল কাঠলের ওয়া দিলে। 




লেখার তারিখঃ ১০/০৪/১২



লিচু খাবো


ছোট ছোট লিচু দেখে-
লিচু খাবো লিচু খাবো
বলে আলফি বাবু-
ভীষণ বায়না ধরেছে
তাই না ভেবে ভেবে
পহেলা বৈশাখের দিনে
নিজ ঘরের বারেন্দার সামনে,
চায়না জাতের লিচু বৃক্ষ
বপণ করেছে।

অনেক অনেক স্বপ্ন আশা নিয়ে
রোজ তাই সকাল বিকাল
আনন্দ উল্লাসে পরিচর্চা করে-
একদিন লিচুগাছ মস্ত বড় হবে
থোকায় থোকায় লিচু ধরবে
নিজে খাবো,দাদা দাদী নানা
নানী আর আত্মস্বজন দিবো, 
অব্যশিষ্ট্য লিচু গুলো নিয়ে
লাউরেমারা হাটে বিক্রি করবো।





লেখার তারিখঃ ১৬/০৪/১২


ভাগ্য কি স্নান

১৪১৭ বাংলার সন
খুশিতে আত্মহারা হন,
বার মাসের আট মাস
পহেলা অগ্রহায়ণ মাস
সপ্তাহের তৃতীয় বার
আনন্দের সোম বার।
আলফি বাবু্র শুভ আগমন
ভাগ্য কি তাহার স্নান,
শুরু হয়েছিল তখন
সু-মধুর মাগরিবের আযান।

তাহার বয়সটা এখন
১৫ মাস ভীষণ চঞ্চল
যাহা পায় তাই নিয়ে
খেলে থাকে মাতাল।
পড়তে বসার নামে
বইপুস্থক খাতা পাতা
ছিরে ফিলে বাবা বলে ডাকে
মাকে বলে দুধ দাও
একটু খানি দেরি হলে
লম্ব দাঁতে কামড় দিয়ে হাসে।
অবভাব কৃতিকালাব দেখে
মনে হয় মস্ত বড় হবে সে
আল্লাহ বড় কর তারে
দেখবো যেনো বাংলার কোন সনে।



লেখার তারিখঃ ২৫/০৪/১২


কি সু-মধুর মিষ্টি আওয়াজ  
  
কালো আঁধারটা কি ভয়াভয়,
সমস্তও দোষটা স্বঅন্তর করে বহ।
শোনাতে পারনি যে ‘কি সু-মধুর
মিষ্টি আওয়াজ’শুধু শুনেছে স্পর্শ
কাতর দৃষ্টিগোচর আকাশ বাতাস।
সন্ধ্যার গোধূলিতে অগ্রহায়নের কি
হিমেল হাওয়ার বুক চিরে শুনছে
শুনছে শ্যামা টুনটুনি দোয়েল আর
ময়না,শোনেও শুনলেনা‘কি আওয়াজ’,
সেই থেকে পাহাড় কাঁদে ঝরনা হয়ে
আকাশ কাঁদে বৃষ্টি হয়ে সাগর নদীর
কি গর্জন তবু খুশি তবু কত হাসি,
সে মুখরিত মিষ্টি আওয়াজ ধবণিত হয়
শুধু এক বারি। জানি জানি ক্ষীপ্ত মনে
তীব্র ভাষায় বলবে ‘কত ত্যাগতিতিক্ষার
স্বপ্ন ভাঙ্গালি অতোই জলে’নিঃসঙ্গ মনে
একাই শুনেছি উপলদ্ধি করেছি যে ভাবে
শুনেছো আমার‘কি সু-মধুর মিষ্টি আওয়াজ’। 


 

লেখার তারিখঃ ৩১/১০/১২



ঝলমল কার্তিক

লেগেছে লেগেছে রে কার্তিকের
ঝলমল কি মিষ্টি হাওয়া
আত্মত্যাগ হয়ে উঠুক মহিমান্ত
কার্তিকের মত ঝলমল।
মিষ্টি রোদে মিষ্টি মনে
প্রতি দিনরাত বয়ে যাক
ঈদের আনন্দের মত,
সবি জানি সবি বুঝি
তবুও পাগলা আবেগ মাঝে
মাঝে উছলিয়া পরে রাগের
টগবগ ঝলমল হিংসপ্রতিক্রিয়া।
একটু কি?শীতল করা যায় না
মনের যত অশুভ কন্দল,
রজনীগন্ধার মত এখনি ফুটে তুল
সাদা মনের সাদা কাজকর্ম,বে-রঙ্গীন
শত গল্প ভুলে গড়ে তুলি
নতুন দিনের অল্পস্বল্প স্বপ্ন হয়ে
উঠুক সম্বোধনের ঝলমল। 


লেখার তারিখঃ ৩১/১০/১২