দীঘির জলে পদ্ম ফুল
এই ছোট দীঘির
জলের মাঝে
পদ্ম ফুটে
ফুটে শাপলা
ফুল
তুমি আমার
মনের মাঝে
পদ্ম শাপলা
ফুল।
ওই শুনো পদ্ম
শাপলা
ছড়ায় নাতো
সুগন্ধি গন্ধ
সৌন্দর্যের
করে শুধু মুগ্ধ
তুমি
বিশ্বচমকানো এক
মুগ্ধ করা
নতুন গন্ধ ছড়াবে
দিন বদলের ভাল
বাসায়
আপন করে
সাজাবে।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
নক্ষত্রের আশা
নীল লাল
সবুজের মাঝে
মাগো জন্মছি
যে তোর বুকে
এই বাংলায়
রক্ত রঞ্জিত,
খাদ্যের
বঞ্জিত কি জ্বলা মাগো,
নিম্পেশিত
মানুষের দ্বারে
উজ্জ্বল
নক্ষত্র হয়ে উঠে আশা।।
মাগো ধন্য
পূর্ণ সবুজ শ্যামল
ধানসিঁড়ি সোনালী
মাঠের বুকে
প্রত্যয় নিয়ে
করতে বিচারণ।।
জলশ্বাসের
মহাপ্লাবন ধবংশের
তীব্রতায় সিডর
আয়লের
ঘুনি পাকের
সময় মুখথবরে
দাঁড়িয়ে
থাকিনি তো তখন।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট
একটি ঘর আলমগীর
সরকার ‘লিটন’
যমুনার পাশে
সহমর্মীতা
সহনশীলতা হয়ে
বাংলার আকাশে
বাতাসে
যমুনার পাশে অবিরতও
বয়ে যাবো চলবো
অন্তকাল।।
আর যারা
হিংসার বলি মেখে
স্বাথের
পূজারিতে ধবংশের
ঢিল ছুঁড়ে ছিল
তারা তো অবুঝ
সেবার
বুঝবে কি করে আঘাত।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
স্বদেশ প্রীতি নাই
চৈত্রখড়া
রোদ্রের খাঁ খাঁ করার মত
মন প্রাণে করে
শুধু সিটবিট শত,
কিছু
কর্মকাণ্ড দেখে ক্ষত বিক্ষত।
ভীষণ
রাগান্তিত হইবারি কথা
মনতেই লাগবেই
তো ব্যথা।
কিছু কিছু
লোকের মনে
উতসাস নেই
আনব্দ নেই
আবেগ
নেই,বিশ্বের ইতিহাসে
নামটি লেখেছে,
দেখা বার
ইচ্ছা নেই,
বুঝার শক্তিনেই
স্বদেশ প্রীতি
তাহাদের নাই,।
তবুও খাঁ খাঁ
রোদ্রে পুড়া
মনটাকে
সান্তনা দেই।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
চৈত্র মাসের বৃষ্টি
রিম ঝিমা ঝিম বৃষ্টি
পরে
টুপুর টাপুর স্মৃতিগুলি
বন্ধু তোর মনে
পরে কি
বাদল ঝরা চৈত্র
মাসের
শেষে শুধুই
মনে পরে।।
চৈত্র মাসের বৃষ্টি
শুরু হতো
যখন সৈকত ইটল
বুলবুল
বাবু ডাক দিতো
বল খেলতে
খেলতাম বল বৃষ্টিতে
ভিজে ভিজে
মাঠ জুড়ে কি
আনন্দ হতো
গোল দিতাম
বারে বারে ।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
যমুনার
চরে ক্রিকেতখেলা
চৈত্র মাসের
খরা শেষে
শরত কালের
শুরু থেকে
শাওন আরিফ
সাকিল আর
বাবু সেলিম ডাক
দিতাম ক্রিকেট
খেলতে আরও মজা
হতো
রাজশাহী থেকে জাহাঙ্গীর
মামা
বগুড়ার শিযার
ভাগ্নে এলে
ক্রিকেট খেলতে
মেতে উঠতো
বাড়ির উঠানে কি
মাঠে কিংবা
যমুনার চক চক
বালুচরে।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
পিপাসাক্লান্ত
বাসনা
ভরা মনে,তৃপ্তির
পিপাসাক্লান্তে,যাও
পাখি উড়ে
সেখানে
আপন নিবাস,
ঘণবন
থেকে ঐ গোলাপের
বুকে
আহারনে। সৌরভে
গৌরভে,মধু
আছে সেখানে
তৃপ্তির
বাসনা উল্লাসিত হবে।
যাও
যাও সেখানেই যাও
সুখ
বয়ছে পাপরির সনে।
পথদলিত
কারমর শব্দের
আওয়াজ
হয়তো শোনবো না।
সুগন্ধটা
বয়ইবে একি সুর সারে
কালো
ধুঁয়ার মত দুরগন্ধের মত
ছড়িয়ে
ছিটিয়ে আসবে ঘণবনে
সবুজ
অরন্যের মাঝে ঝরে
যাওয়া
এতো এ ডালে।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
ধ্রুবতারা হাসে
ওগুছালো
গুটিকয় বছর
গেলো
চলে,চোখের পলকে
বিষন্নতা
হাতছানি দিয়ে ডাকে
ধ্রুবতারাকে
সঙ্গী করি বুকে।
ভাবুকচুরা
মনের চারিপাশে
সাহারার
মরুভূমি,যমুনার
ধু
ধু বালুচরে খাঁ খাঁ করে,
চৈত্রের
খড়ার মত শুধু পুড়ে।
সুখ
নামের অবুঝ পাখিটি
দেয়
নাতো দেখা,মৃধ কম্পণ
গাংচিলের
মত যায় উড়ে
যায়
না কো ধরা ছোঁয়া,
তবুও
বাউই পাখির মত
বেঁধেছ
অট্টালিকায় বাসা।
পিচুলোক
করবে কাঁণখেসা
চড়ুই
পাখির মত কস্টে আছি
আপন
ঘর শুধু যে কাঁচা,
দক্ষিণার
ভাঙ্গা জানালার পাশে
ধ্রুবতারা
উঁকি দিয়ে হাসে।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
শাপলার বুকে সভ্যতা
পথে
ঘাটে মাঠে উদ্ধানে
শহর
কি গ্রাম গঞ্জে
আকাশে
– বাতাসে
অশ্লীলতার
ভর করেছে।
ঠোঁটে
মুখে – হাতে পায়ে
চোখের
অড়ালে পুসাকে
চললে
কি বললে কেউ
তুলেছে
অশ্লীলতার ঢেউ।
বলতে
মানা,কেউ বুঝেনা
নিজেকে
শুধু করছে হত্যা।
ইচ্ছার
ভিরে স্বাধীনতাকে
করছে
বিপন্ন, আর নয়
অশ্লীলতা।জলে ভাসা শাপলার
বুকে দেখো,ভাসমান
সভ্যতা,
লাল
সবুজেয় দুলছে একত্রিতা।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
হলুদ গাঁদার ফুল
খোঁপায়
দুল হলুদ
গাঁদার ফুল
হাতে
নিয়ে লাল গোলাপ ফুল,
লজ্জাপতির
মিস্টি লাজুক
ঠোঁটে দুলছে
প্রেমের ফুল।
মেহেদী
রাঙ্গা পায়ে
ঝুন
ঝুনা ঝুন নূপুর বাজে
কাঁকন
বাজে নাচের তালে
লাল
টুকটুক শাড়ী পরে
বধূ
সাজবে কাল।
স্বপ্ন
দেখার আশাগুলি
ভাঙ্গবে
বুঝি আজ অথবা কাল
ভোর
বেলায় উঠে দেখি
ঝরে
গেছে হলুদ গাঁদার ফুল।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
অনিরবান
ভাসমান হয়
কেন?অনিরবান
সবুজের বুকে
ধবংশের আহ্বান,
সময় সেকেন্টের
স্রোত গুলো
হয় না শুধু
অপেক্ষাবান।
কাঁন্না দিয়ে
হয় যাহার শুরু
কাঁন্না দিয়েই
যা শেষ,জানতে
চাই না মহান
ভাগ্যদেতা।মাঝ
খানে শুধু
দীপ্তশিখার জন্যে হাহাকার,
শোকের ছায়া
যেনো অগ্নিবান।
স্মৃতির পাতায়
সমুদ্ররের মত স্লান
জোয়ার তুলিবে
ভাটা নয় আর
অনিরবান হোক
নতুন কোন প্রাণ।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
উড়ান্ত কাঁক
যদি
হইতাম ভোর বেলার
উড়ান্ত
উজ্বল কালো কাক,
প্রভাতে
দ্বার খুলা উঠানে
ডাকতাম
শুধু কা-কা-ডাকে কা।
বিরক্ত
ছলে,রাগের বশে তারা দিতে,
বলতে
তখন ‘যা কাক যা’
তারা
খেয়ে
ডানা মেলে উড়াল দিতাম
কা-কা
ডাকে কা–কা ডাকে কা।
রাগান্ত
ভাবনাগুলি দেখলো নাতো
ফিরে,কোন
কাক কে তারা দিলে,
বুঝলে
না তো মনের বন্দরে।
পৌষ
মাঘের হাড় কাপানো শীত,
যতো
উষ্ণ চাদর অঙ্গে জড়িয়ে
তবুও
বলতে‘হ্যা কি এতো শীত’।
বুঝলেনা
শীতের বেশে অঙ্গে ছিলাম,
শীত
স্পশে কাকের ছড়ায় সৌন্দরয
একবার
দেখেছো কি? সে সুন্দর শুধু
সুন্দরের
ছোঁয়ায় উজ্বল হয় অন্তত।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
উষ্ণ চাদর
আকাশ বদলায়
মেঘর রূপ
বদলায় ঋতুর
নানাবি রঙ
আবার আসছে
মৌসুমীর হাওয়া
হাড় কাপানো
পৌষ, আরাও
যে মাঘের বাঘ
দৌড়ানো
আগুন তাপানো
শীত শীত।
গ্রাম গঞ্জে
কি শহরে
ওলিগলি কি
রাস্তার পাশে
হরেক রকম দেখ
পিঠা
খাওয়ার ধুম
পরেছে,
উঠান জুড়ে
চেয়ে থাকে
দেখ জামাই আসে
ঘরে।
কারো নীল কারো
বা
কাল দু’চক্ষু
মেলে দেখ না
ঐ সারা অঙ্গে
কাপানো
পৌষ মাঘের
তীব্র শীতে,
ইচ্ছা করলে
দিতে পারো
এই
শীতে জড়িয়ে উষ্ণ চাদর।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
এক চাপা ব্যথা
কি
জানি এক চাপা ব্যথা
যায়
বয়ে যায় বুকের মাঝে
ফেল
ফেল করে দৃষ্টির পাণে
আলফি
আর বুঝতে জানে ।।
ঘাগর
চুন্ন ঐ আঁকা বাঁকা
ঠোঁটের
ফাঁকে এতো হাসি
জ্ঞান
বিবেক শৃণ্য করে
ঝরায়
কেন রাশি রাশি
ঐ
অগ্নি দৃষ্টির পাতের চূড়ায়
আলফি
আর বুঝতে জানে ।।
চাপা
ব্যথার আঘাতে যখন
নিজের
গাঁয়ে পরলে আঁচর
সবস্বার্থের
পিলে চমকে যাবে
যতো
দোষ নন্দঘোষ ঘারে
উপর
চাপে বসায় সে তো
আর কেউ
বা জানে।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
প্রেমের আয়জোন
ভালবেসে হই
যদি দোষী
জন্ম দেওয়াটাই
ভুল বিধি
প্রেমপ্রীতি
ইউসুফ জুলেখার
তারাই দিলো
প্রেমের অবধি।।
লায়লী মজনু
শিরি ফরহাদ
রেখে গেছে ঘাত
প্রতিঘাত
ইতিহাস সাক্ষী
দেয় শত
ভয় কেন ভয় নাই
আজ
মুঝে ফেল যত
সংকীরণ
একসঙ্গে মনটা
এসো বাঁধি।।
গড়তেই মজনু
ফরহাদে মত
নতুন প্রজন্মে
এআয়জোন শত
মনের দরদিটা
খুঁলে দেখও
ইউসুফের প্রেম
আদরশ্ ক্ষত
জুলেখার মত
হয়ে আসো
প্রেমের পরশ
দাও না বিধি।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
প্রেমযমুনা ঘাটে
উদ্যোগ
নিয়ে উল্লাস ভরা হৃদয়ে
সারি
সারি কলাগাছের ছুয়াতে
লেখতে
বসি স্মরণে আসে তখন
পল্লী
কবির নিমন্ত্রণ কবিতার মত
জানাই
বন্ধু সবাইকে আমন্ত্রণ ।
যমুনার
তীরে কালিতলাঘাট পেরিয়ে
লম্ব
লম্ব বাঁধের পাশে প্রেমযমুনারঘাট।
টল
টল জলের কল কল শব্দের স্রোতে
কিছু
সময় সাঁতার কাটাতে,বিকেলের
প্রন্থ
ধরে গোধূলীর লগ্নে জুড়ে আড্ডাতে।
ফাগ্লুন
হাওয়ায় দৃস্টি জুড়ে যাবে দেখবে
চর
ডিঙি নাঁওয়ে ভাসবে এ চর ও চর
কত
জাগায় না ঘুর,একটু সময়ে এসো
স্মৃতি
বিচরণ করতে,প্রেমযমুনা ঘাটে।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
অন্তর চক্ষু
ও গ্রহ ছাড়া কেমন করে
চাঁদটা ভাল থাকতে পারে
সারা বেলা ভেবে ভেবে
একটা ধ্রুবতারা ব্যাকুল।।
আলোয় উজ্জ্বল ভরা চোখ
পূরণিমা সুখ তারা দেখ
অন্তর চক্ষু কোথায় রাখ
এক বার মেলে দেখ
কেমন করে ঘুরছে গ্রহ
বুকে কত স্বপ্ন গুল।।
আপন ভুবন জুড়ে
নিরাশার বুকে স্বপ্ন ধরে
বেদনা ভরাকাতর রাখে
কোথায় যাও লুকিয়ে
মরিচিকার পিছে ঘুরে
ঘুরে কষ্টের ঘর হলো।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
তাহার বাস
লম্বা লম্বা
বাঁধের পাশ
সারি সারি
কলার গাছ
যমুনার এ কূলে
ও কূলে
কি দারুন
তাহার বাস।
বাঁটির চর
ডাকাতমারা চর
আর নামনা জানা
কত চর
জলে ভাসে
প্রেমের ঘর
চোখ উসলে পরে
সুন্দর।
সেথায় আমার
জন্মভূমি
জেনে রাখ
চঁন্দ্র তুমি
সৌন্দরযের
স্মৃতির পট
ছিঁড়বেনা
ভালবাসার জট।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
যমুনার বুকে ছোট ঘর
ও যমুনা
তোরি বুকে
ধু ধু ভরা
বালু চরে
বানাবো
বানাবো
আমার ছোট
ঘর
শু শু
শব্দ সুরে
নিমিশে
করিছনা পর ।
ভাল লাগতো
টলোমলো
ঢেউয়ের
সাথে সারাদিন
সাতাঁর
কাটিতাম
তৃষ্ণা
যখন লাগতো
হাত ভরে
পানি নিয়ে
তৃষ্ণা
মিটাতাম ।
কত স্মৃতি
কত উজান
ভাটির
চরচোরা নিয়ে
হয়েছে
রক্তেরি বান
তবুও তোর
তীব্র স্রোতে
ভাঙ্গা
গড়া খেলা দেখে
খেলবি রে
কত আর।
একটু না
সুখের জন্যে
তুলে কত রে হাহাকার
তোরি
বুকে ছোট ঘর।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
অদৃশ্যই দেখেছি মুখ
শত মানুষের মাঝেই
অদৃশ্যই দেখেছি একটি মুখ
ভালবেসেই পেতে চাই
তার একটু সুখ
বাঁধনা নিঠুরে বাঁধন
ভালবেসে ভরিয়ে দিয় প্রাণ ।।
প্রতিরাতে ঘুমের ঘোরে
একটিই স্বপ্ন শুধু দোলে
আর সুরছন্দে মনটা বলে
তোমার প্রেমের প্রেমিক হলে
তোমার প্রেমের প্রেমিক হলে
এপারে ওপারে সৃষ্টার শুধা
সৃষ্টার কৃপা হবে অম্লান ।।
যদি একটি ক্ষণ জুড়ে
তোমার প্রেম না পাইলে
জীবন যাবে যে বিফলে
দেখবেনা কেউ চোখের জলে
তুমি ছাড়া আর কিছু নাই
শেষবিচারে মুছে ফেল তাই
শত ভুল ত্রুটি অভিমান ।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
পরবেনা তোর পদাঙ্ক
আট চরণের
পালঙ্ক মোর
কেমনে সাজাবে
যদি থাকে
বিধির
কৃপা সাদা
রঙে জড়াবে ।।
আগে পিছে
ডানে বামে
কে সাথে যাবে
আত্মহারা মনে
ব্যথা
তারাই যে পাবে
রাতদুপুরে
ভুবন জুড়ে
শোকাহত বয়বে
।।
ফেরেশতারা কি
দেখিবে
পাপপর্ণের গান
শুনাবে
থাকে যদি পাপ
ভরে
তখন হবেটা কি
ভাবতে থাকি
পরবেনা তোর
পদাঙ্ক
পুড়তে শুধু
হবে ।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
টুক টুকে মরিচ
মরিচ মরিচ
মরিচের কথা
শুনে পরে জিবা
জুড়ে
নাল টপ টপে
করে ঝরে
ঝালের চুটে
কাণটা তালি মারে ।
ছোট খাটো
লম্বা মরিচ
সে কি বাবা
বগুড়ার মরিচ,
সারিয়াকান্দি
যমুনার চরে
যেখানে সেখানে
ধরে মরিচ।
মরিচ যদি ভাই
দেখতে চাও
সারিয়াকান্দি
শনি,মঙ্গল বারে
হাটেতে হন হন
করে যাও,
লাল টুক টুকে
মরিচ পাও ।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
পানকৌড়ি হয়ে এসো
ও বন্ধু রে
কোথায় হারিয়ে
গেলে
এই পূর্ণিমা
রাতে
জ্যোন্সা ঝরা
তারার
সনে খুঁজি
ফিরি একা
জোনাক হয়ে
নাইবা এলে।।
ও বন্ধু রে।।
ও স্মৃতির
দরবারে
চায়ের আড্ডা
ঘরে
ভাবুক দৃষ্টির
পাণে
লোনা জল ঝরে
পরে
ও বন্ধু রে ।।
বনহাস পানকৌড়ি
হয়ে
ফিরে এসো সবুজ
অরণ্যে
ও যমুনার টলটল
হাঁটুজলে
ভাসিয়ে যাইয়
নিরবে দেখবো
ও বন্ধু রে ।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
মন ভরা অহংকার
ও নীল আকাশ
আর কান্দনা
কান্দনা
ও কালবৈশাখী
ঝড়
আর বইয়োনা
বইয়োনা
শোকাহত বাতাস
মিশেছে
সবুজে সবুজে
সমহার ।।
রাতের প্রহরে
জোনাক তারা
বলে আমরা আর
মিটি মিটি করে
জ্বলবো না
বকুল
হাসনাহেনা সুগন্ধ
আর ছড়াবেনা
অনুরাগে
অভিমানে হয়েছে
একাকার ।।
ঘুমহীন রাতে
স্বান্তনা নিয় হায়
এক মিনিট
নিরবতায়
স্মৃতির
জালানা খুলে খুলে হায়
সুখ না হয়
দুঃখ গাথা
আর কোন কথা
বল ঘৃণা ভরা
অহংকার ।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
দয়া মায়া নাই
ভবের এই
বাজারে
অল্পস্বল্প
স্বাদ দিয়ে
কেন বানাইছো
বিধি
কেন বানাইছো
বিধি ।।
সুন্দর
দুনিয়ার মায়া
ছেড়ে কোথায়
যাও লয়ে
মায়ার কানন্দ
কেউ
দেখে না দেখে
শুধু অন্তর
অন্তর ভাসে
জলতরঙ্গে
আনন্দে
আনন্দে।।
সেই অন্তরে
কেন?
দিলো বিধি
মরণশীল
দয়া মায়া নাই
কি?
ও বিধি তোর...
বিধি
ভাবতে গেলে
পাগল বলে!
বলে আশরাফ আলী
।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
সেই কয়েরবিলটা
সেই দিনের ভাবনা বুনানো জাল,
আর তো ভাসে না সারি সারি
বাঁধে ঢাকা পরেছে সেই খাল।
চারিদিখে বন্যার সময়ে খাল জুড়ে
থই থই জলের মাঝে শাপলা পদ্ম
ফুটে থাকতো কয়েরবিলটা ভরে।
সকাল দুপুর কিংবা বিকালের প্রান্তে
ছোট ছোট ডিংঙি নৌকায় চরতে
কি যে ভাল লাগার দোল লাগতো
সে কথা তুমি নাকি বহুবার জানতে,
শেষপ্রহরে ঝাঁট জালে ব্যস্ত থাকতো
মোর বাবা কত না মাছ ধরতে ।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
সবুজ ঘেরা মাঠ
সময় যাচ্ছে কেটে প্রকৃতির ইচ্ছে
সময়ের বিবরতনে পালটে গেছে
সেই খালের বুক বয়ে শোনা যায়না
রহিম বক্সের মিষ্টি সুরে একতারার গান
কয়েরপাড়া জালু যেটার লাঠি খেলার নাচ
সবি যেনো স্মৃতির জলে হয়েছে স্লান।
আমরা সবাই যার যার স্থানে
পরে আছি কর্ম ব্যস্তয়তায় কেউ বা
ইতালি কেউ বা আমেরিকায় আবার
কেউ যমুনার ভাঙ্গা গড়া ধুধু বালুচরে,
আমি আছি এই খালেবিলে নদী নালায়
আর সবুজ ঘেরা মাঠ প্রান্তরে।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
ছনুর ছনুর বৃষ্টি ঝরে
নীল আকাশের সাদা কালো
মেঘের ফাঁকে ফাঁকে না হয়
ছনুর ছনুর শব্দে করে শাত
সকালে বৃষ্টি ঝরুক বৃষ্টি ঝরুক,
বৃষ্টির চঞ্চলা পায়ের সাথে ঐ
নদী ঝরনা আর সাগর দোলে
দোলে আর নাচুক আর নাচুক।
নাচেরে নাচে চোখের নুনা জল
জল পরে অপেক্ষার বাঁধ ভেঙ্গে
চলেরে চল দূরে না হয় চল।
পৃর্ণিমা নিশিতে ক্লান্ত দেহে বিষাদ
অবশান্যে স্মৃতির বাতায়নে ছবি
হয়ে ভাসুক শুধু ছবি হয়ে থাকুক।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
শেষ প্রহরের নীল
নীল নীল করে
আর
হওয় না পাগল
একটু না ভেবে
দেখো
লাল সাদা কালো
গোলাপের পাপড়ি
ঝরা
দেখে চোখে আনো
জল ।।
নীল হাসতে না
শিক্ষায়
স্মৃতির মাঝে
শুধু আকাল
মেঘ হয়ে ভাসে
অন্তকাল
সিক্ত কণ্ঠে
সুর তুলে
বাজাও মধুরো ও
গান
প্রকৃতির
মুক্ত হাসে সকাল ।।
ও কখন শেষ
প্রহরে ভেসে
উঠে বিষাদ ভরা
নীল
পাগল বেসে
মেরোনা কো ঢিল
খুঁজতে থাকো
পাবেনা কোন রঙ
পতিক হয়ে
চিনেদিবে লাল
কালোতে দেখো
শোকাহত
সাদাতে জড়াবে
আজ বা কাল ।।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
ভেবো না উম্মাদ
আমায় ভাবিছ না
উম্মাদ
মনটা তো ভেবে
ভেবে ভরে
গেছে বিষাক্ত
বিষাদ আমি
নয়তো ভণ্ডামির
ভাবধরা
হিংস্রো কোন
জানোয়ার আমি
তোদের মত
রক্তমাংস গড়া,
সহজ সরল পথে
হয় কেনো?
নিঠুর শিখা
জ্বলজ্বল অপোদ।
মানবতার কথা
বল্লে পরে
হাসো তুমি
শয়তানের হাসি,
সৃস্ট্রকতায়
কর বিশ্বাস কোন
কাজ
ব্যস্তবতার দেখিনা আজি।
কত কথা কত
প্রমাণ দেখেছো
তবু মুক্ত
আকাশে গুপ্ত বিষাক্ত
ক্লান্ত দেহে
বেদনার উমক্ত বিষাদ
থেকে থেকে
স্মৃতিরা করে উম্মাদ।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
সংসার জীবন
তোর সুখ আনন্দ
আর স্বার্থ
মন্ধ
তিন অংকের
গুণে
নিয়েছি যে
কিণে।
জাম কালো
নিশিদ্রা কালো
আর কালো তোর
মন
স্বার্থহীনতা
হলো না
সংসার জীবন।
মোর যাচ্ছে
কেটে
ভীষণ কষ্ট
পাটে
ধবংশের নিশান
উড়ে
কথায় কথায়
অকারণে
কি
হবে আর স্মৃতির বাতায়নে ।
কাব্যগ্রন্থঃ যমুনায় বানাবো ছোট একটি ঘর আলমগীর সরকার ‘লিটন’
লেখক পরিচিতিঃ
mvwi mvwi euva,evu‡ai cv‡k© n¨v wK my›`i KjvMvQ
†h‡bv hgybvi Uj Uj †mªv‡Zi nvIqv
¯^‡Pv‡L bv ‡`L‡j †mŠ›`‡h©i eySvq hv‡e bv|
cvu‡PB RyjvB 1981 (5/07/1981) Bs mv‡j e¸ov ‡Rjvi
mvwiqvKvw›` _vbvi ÕmiKvi cvovÕ GK mvaviY cwiev‡i
Rb¥|
wcZv †gvt Avkivd Avjx miKvi ÕÕeyjyÕ
gvZv †gvQvt Av‡jqv ‡eMg,Pvi fvB †evb|
Avwg fvB
‡ev‡bi g‡a¨ `yB bv¤^vi|
No comments:
Post a Comment