Sunday, October 7, 2012

দ্বিয় কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ








ঐ নক্ষত্রে মুরাদ

লাল সূর্টা ডুবে যাচ্ছে
সবপাখি ছোট নিরে ফিরছে,
গধূলীর সাথে যখন
দখিণার বেলকণির বসে
ভাবছি আর দেখছি গগন
জুড়ে শুধু গোটা কয়েক তারা
মিটমিট করে জ্বলছে তখন।
হঠাত তারা মাঝে একনক্ষত্র
বলছে কেমন আছো ভাই
থরবর ভাবে বিদুত চমকে
গেলো দেহটার মাঝে দৃষ্টি যেনো
আরও গ্যারো শীতল হলো
স্মৃতির ভাবনার জালগুলো
একে একে খুলতে থাকে এতো
চিনা কণ্ঠ তুই সেই মুরাদ
এক প্রলয় বাষ্পর হাওয়ায়
কোথায় হারিয়ে গেছো কত না
খুজেছি সন্ধ্যার গধূলীতে প্রভাত
ভরা শিশির ভিজা সকালে কখন
হতাশ ভরা মনে ক্ষিপ্ত ভরা নয়নে
আজ পেয়েছি এক নক্ষত্র মুরাদ।


লেখার তারিকঃ ২৪/০৯/১২   
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’






বায়লার বিস্ফোরণ

শীতের সকালটা
এতোই ছিল শীতল
শিশির ভিজা ঝরনা
কেউ জানতো না,
কেউ দেখেনি স্বপ্নটা
আকাশের বুক চিরে তখন
আসেনি বৃষ্টি ঝরা কান্না।

জানালার ফাঁকে মিষ্টি রোদে
নতুন টেবিলে বসে পড়তে
কার না লাগবে আনন্দ
সেই আনন্দে ছিলাম পড়তে,
কানে ভেসে এলো হঠাতে
কেচামেচির কি জানি শব্দে
বলছিল বড়মা পড়ে বসতে
পড়া চুর পড়া ফাঁকি দিয়ে
সেই যে দিয়েছিল দৌড়,
বসেনি আর পড়তে।

কিছু ক্ষণ পর শুনাগেলো
অদ্ভুত এক বিকট শব্দ
চারিদিকে শুধু কালো ধুঁয়া
আর আর্তনাদের চিতকার
কেউ বলছে চাতালের বায়লারটা
জানি বিস্ফোরণ হয়েছে,নুরু নাকি
মারা গেছে ঐ পাস থেকে কে জানি
বলছে মুরাদ নাকি বায়লারের
গরম পানিতে ঝলছে গেছে। কি
মুমূর্ষু দৃশ্য দেখে হয়েছিলাম অজ্ঞান
বায়লার বিস্ফোরণে আর কারো
হয় না জানি অকালে চিরঅজ্ঞান ।


লেখার তারিকঃ ২৪/০৯/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’




‡RVv‡Zv fvB

cvuP †ev‡bi wQj
‡mvbvi †kvnvMv
fiv GKwU fvB
‡n‡m †L‡j DV‡Zv
ivOv cÖfvZ gyiv`
gyiv` gyiv` gyiv`
cuvP `yjv fvB‡qi
kvjv evey GKUvB
gyiv` gyiv` gyiv`|

AKv‡j nvwi‡q
‡M‡jv †Kv_vq
kZ Av`i ggZv
wQbœ K‡iB AvR
hw` ‡e‡P _vK‡Zv
b¨vq wbV¨ mZZvq
gvby‡li gZ gvbyl
n‡Zv m½x wQj GKUvB
‡m ‡RVv‡Zv fvB †RVv‡Zv
fvB gyiv` gyiv` gyiv`|

fxlY wQj PÂj
e„wׇZ wQj †PŠKm
Kv‡R Av‡b mydj H
‡Mw`i gv ej‡Zv fvj
mwe ‡h‡bv nvnvKvi
¯§„wZi †Rvqv‡i AvR
 kZ ‡e`bvwi mvR
 gb f‡i ïay welv`
‡`wL ‡klcÖn‡i H Pv`
‡KD bq gyiv` gyiv`|

লেখার তারিকঃ/০৯/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’





এক টারজান।

সরকার বাড়ির পাশে বড়
কি লম্বা লম্বা বাঁশবাগান
থেকে থেক সবুজ ঘোন জঙ্গল
কি সুন্দর যেনো সুন্দরবন।
বাঘ ভাল্লুগের নেই কোন ভয়
শিয়াল মামার কত রয়
সন্ধ্যার পর হুক্কাহুয়া ডাক
মোগরি দুতলা ঘর হঠাত
হঠাত হুরমুয়ার শব্দ বাজায়,
কুকুটা এবাড়ি সেবাড়ি দৌড়ে
ভুক ভুক করে তাড়ায়।
চৈত্রের দুপুরে ভীষণ গরমে
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় উঠতাম মেতে
গাছের লতায় দোলিতাম
কত না আনন্দে বলতো
মুরাদ আমি বনের টারজান,
এই বলে এ ডাল থেকে ও ডাল
লাফিয়ে লাফিয়ে যায় সত্যিই
যেনো এক ভয়ানক টারজান।


লেখার তারিকঃ/০৯/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’






পিটাপিঠি ভাইবোন 

পিঠা পিঠি ভাইবোন
আখি মুরাদ দুজন
মারামারি চিলাচিলি
করতো ভাই সবক্ষণ।

শীত কিংবা বর্ষা
কিছুই মাবতো না
একটুতেই ঝগড়াঝাটি
কথা বন্ধ করতো না।
আবার একটু পরেই
মিলের কি হাসাহাসি
হারিয়ে গিয়েছে আজি।

উঠানে যখন বড়ই গাছে
বড়ই পারি দুজনে লম্বা
গলায় দিতো গলা ঝারি
সে কি আর ভুলতে পারি
যেনো ভাই স্মৃতির পাহাড়ি।

লেখার তারিকঃ/০৯/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’







কি ছিল সাহস

কি লেখি কবিতা ভাই
শব্দের শুধু ছন্দ হারায়
ভাবতে গেলে কষ্ট পায়
ভাবতে গেলে কষ্ট পায়,
কি তার ছিল এক অদ্ভুত
ধরণের সাহস দেখছি ভাই
ভূত আছে জেনও দিনদুপুরে
লম্বা তেঁতুল গাছে নিমেষেই
উঠতো শুনেছিলাম ওই গাছে
ভূত নাকি ছিল ভয় নাই
কি যে সাহস ভাই।

ঐ যমুনার উচ্চ টিলা থেকে
দিয়েছিল উল্টো ডিকবাজি
গভীর পুকুর থেকে দীর্ঘ
নিঃশ্বাসে তুলে আনতো মাটি।
আশ্চর্য হবার ছাড়া কিছুই
ছিলনা,একে বলে বেটা সাহসী
সততা সাহসের গুণে হয়েছিল
সোনার চেয়েও খাঁটি, অচমকা
ঝড়ে পুরটাই হয়েছে মাটি ।

লেখার তারিকঃ/০৯/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’








অভাগা

হ্যায় রে অভাগা জীবন
কেণো তোর এমনটি হবে
অকালে প্রাণ হারিয়ে যাবে
জানাতাম যদি একটু আগে
পাঞ্জা বেঁধে রাখিতাম তবে।

হ্যায় রে বিধি তোর
এইকি ছিল মনের খর
তীব্র কষ্ট দিয়ে জীবনটা
সাজিয়ে দিয়েছিলে অল্প বয়সে
বা ছিনিয়ে নিলে তার  
জানাতাম যদি একটু আগে
লুকিয়ে রাখিতাম সাগর নদী
স্রোতের ভাজে ভাজের উপর।

হ্যায় রে ভাগ্যের কি পরিহাস
কে জানে কার সর্বনাশ
কেউ যদি আনে নিজের হাতে
কার কি আসে যায় তাতে
জানা হলোনা শুধু একটু আগে
দুঃখই তো বারমাসে রবে।

কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’






হাসে তারাগুলো

নয় শীত নয় গরম এই সময়ের
কোন এক রাতে হাসে তারাগুলো
প্রবাসী সুরুজ মামার বিয়ে হলো
ঘরতে নতুন মামী আলো জ্বলে এলো।
বৌভাতে পাড়ার সকল দাওয়াদ দিলো
উতসবে আনন্দে পোলাও মাংস খেলো।
ফটকা ফুটানো নিষেধ ছিল,তবু দুষ্টু
ছেলে মুরাদ ধুমধাম করে মেরেছিল।
নানাবাবুর চিলাচিলিতে ভয় কি আর
করেছিল,এক দিন ঠিক করা হলো।
যমুনা চরে ঘুরতে যাবে
যমুনার পানি কি টলমলো ছিল
ধুধু চরের বালি কি ঝলমলো
দেখেই না ইচ্ছা হলো লাফালাফি
ঝাপাঝাপি পানিতে উল্টো কি
ডিকবাজি এই দেখে নতুন মামীর
লজ্জায় কি হাসাহাসি, সেই সব
স্মৃতি এখন শুধু করে ছুটাছুটি


লেখার তারিকঃ/০৯/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’









ডেপল তলা

উচ্চু নিচু ঘোন জঙ্গল যাকে
গ্রাম্মো ভাষায় বলা হয় আরা
সেই আরার মাঝে এক বিশাল
ডেপল গাছ ছিল,যাকে বলা হতো
ডেপল তলা। ডেপল গাছের গোরার
দিকটা বেশমোটা উপরের দিকটা সুরু
পাতাগুলো পিছল দেখতোও কি সুন্দর।
ডেপল তলায় পঁচা শার বউ প্রায়
পুঁজো করতো চুরি করে দেখতাম
ডেপল দেখতে খানিকটা আপেলের মত
ডালগুলো খুবি শক্তছিল ডালে ডালে
প্রচুর ডেপল ধরতো যখন পাকতো
গায়ের রঙ টক টকে হলুদ হতো।
পাকা ডেপল নানান পাখি ঠুক ঠুক
করে খেতো কাঠালের ওয়ার মত
খেতে টোক লাগতো মরিচ দিয়ে
মেখে খেলে মজায় লাগতো বেস 
ডেপল গাছে উঠে বাঙ্গালী নদী দেখা
যেতো,দুশ্তমির ছল বসে মুরাদ প্রায়
গাছে উঠে বসে থাকতো খুজেই
পাওয়া যেতো না,কি অদ্ভুত কান্ড।
যখন চৈত্রেভ ভীষণ গরম পরতো
ডেপল তলায় গিয়ে আড্ডা দিতাম
আজ ডেপল গাছ নেই মুরাদ নেই।    


লেখার তারিকঃ ২৮/০৯/১২          
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’








সেই কালিতলা ঘাট

বর্ষা কালের রাক্ষসী বসন্ত
কালের হরসী কি রূপসী
কলকল হোলহোল করে বয়ে
চলছে যে যমুনা নদী,
উত্তরে উজান দক্ষিণে ভাটি
ঘোন নীল স্রোতের খেলা
দেখে জুড়ে যায় চোখদুটি।

নদীর কিছুটা মাঝে লম্বা
একটি বাঁধ দু’পাশে ব্লগদিয়ে
কি কারুকাজ,কত না বড়
বড় নৌকা,ইস্ট্রীমার,জাহাজ
নঙ্গর ফেলে কত মানুষের
মিল মেলা রোজ বিকালে।একটু
না হয় সময়ে করে এসো
কালিতলা ঘাটে,কত রঙে বঙ্গে
ফোট তুলতো প্রতি বছরে নৌকা
বাছ হতো কি আনন্দ ধুলি মাখা
অষ্টমী বস্টমি মেলা হতো সেই জাগায়
নাম কেউ জানো আর না জানো
আমি জানি সে হলো কালিতলার
ঘাট কত স্মৃতি লেগে আছে অশ্রুসিক্ত
দুটি নয়নে জুড়ে কালিতলা ঘাট।  



লেখার তারিকঃ/০৯/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’






বিস্মৃতি

এক জাগায় এক থাসে
বাস করে আত্মস্বজন শত
হিংসদন্ডে ঝগড়া হয় কত
তাই বলে কি নিঠুর এতো।
সেদিনের সকাল থেকে বিকাল
পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাছে না
কোথাও, কত না হৈইচোই
কত কান্না কান্নি,অবশেষে
সন্ধ্যার লগ্নে পাওয়া গেলো
সেই ঘরে খাটের তলা থেকে।
কি বিচ্ছিরি স্মৃতি আজ মনে
পরে গা শিংরে হ্যায় উঠে,
এখন তবে রহো রহো ঘটছে
এমনটি,পত্রিকায় কাজ খুলে
পরে দেখা যাছে কি বিচ্ছিরি।

লেখার তারিকঃ/০৯/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’









দাদা গুরু

দাদাগুরু নামটি দিয়েছি
বলে রাগ করনা মনে 
বাউল কবি হতে চাই
ঐআকাশের তারা সনে।
মনে প্রাণে দিচ্ছেন আশিস
সাফলটা আসবে একদিন
দেখিস,অপেক্ষার দ্বারে যদি
আসে ঘুমে পারা বালিস,
সেদিন বাউল কবির দিবে
বা কে শৃণ্য ঘরে হাত তালি
দাদাগুরু একটু না হয় ছিরা
চাদরটাকে দিবেন তালি।

কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’







অসময়ে বন্যা

ওরে নিঁদয় সর্বনাশা যমুনা
ভিটাবাড়ি গরুছাগল জমিজমা
ভায়সা দিলি কায়রা নিলি
অসময়ে দিয়া অন্ধ বন্যা।
তোর অথৈয় জলে শস্যশ্যামল
চির সবুজ কুতুপুর চন্দবাইশা
গেলো গেলো ভায়সা গেলো দূর
দূরান্ত থেকে কত লোক কত
মানুষ দেখে গেলো।হাহাকার তুলে
মনের ক্ষিপ্তে অভিশাপ দিলো,
নাইরে তোর বাবা মা নাইরে শাসন
মনের ইচ্ছায় নিমেষে ভাঙ্গিস
রে যখন তখন।ঐতিহ্যের
বাঁধন ভায়সা গেলো তোরি
বুকে কান্দে রইলো,কবির
ভাষায় দেখলাম না, শুধু
হিংসা ভরা গর্জনে দুঃখই
দিলি ওরে যমুনা ঢালিয়া
দিলি কেন?অসময়ের বন্যা।

লেখার তারিকঃ ৩০/০৯/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’







ডিজিটাল দুষ্টু ছেলে

ডিজিটাল যুগের দুষ্টু ছেলে
ভীষণ চঞ্চল আলফি সোনা
তোর মুখের হাসি দেখে
ভুলি হাজার কষ্ট বেদনা।

শত দুঃখের মাঝে এসেছিল
একটু সুখের বার্তা নিয়ে
তোর দু’চোখের তারায় দেখি
জ্বলছে আলো সুখ হয়ে।

একটু খানি আড়াল হলে পরে
ডিজিটাল ভেলা ভাসে কষ্ট সাগরে
তোকে নিয়ে হাজার স্বপ্ন আশা
বড় হয়ে গড়বে ডিজিটেল দেশাটা।


কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’







সাদা রঙের বেনারসি

তোমার বড় ইচ্ছে ছিল
অঙ্গে জড়াবে লাল টুকটুক
টাঙ্গাইলের বেনারসী শারী
চার চাক্কার গাড়ী চড়ে
যাবে একটু দুরে শ্বশুর বাড়ী।

বর আসবে পাগড়ী মাথায়
বাজবে সানায় অতোস বাজি
ওরে ফটকা বা কোথটায়
তাইনা দেখে পাড়ার সবাই
করবে হাস হাসি নাচা নাচি
কানাকানি আনন্দে রঙ মাখায়।

ইচ্ছেটা তোমার হয়নি পূরণ
সর্বনাশা কিডনি ব্যাধি
অকালে দিয়েছে মরণ একটু
স্বপ্নে সাজানো বাঁশর হলো
কেন?সাদা রঙের বেনারসি পরিয়ে
নিলে বিদায় ঐ না বাঁশের ঘর।

লেখার তারিকঃ ০১/১০/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’







চলছে ক্রধ

শেষপ্রহরে ঝিঝি করে তারাভরা আকাশে
ঐ নক্ষত্র হয়ে দেখছো বুঝি একটু সবে।
দেখছো কি হিংসা ভরা কন্ডদাস
শত দুঃখ কষ্ট বেদনা কাতর নিঃশ্বাস।
যদি দেখেই থাকো,মনের প্রত্যায় ছিল কি
স্বার্থ পরের মত ভাবছো ভাল হয়েছে
পর হয়েছি,পাড়ার মানুষগুলোর স্বপিরিতি
একে বারে নাই,মন জুড়ে ভয়ানক ক্রধ।
আজ যদি তুমি থাকতে তোমাকেও হওয়
তো মন ভরা হিংসা থাকতো,জ্বলে পুড়ে
ছাই হওয়ার মত নির্ভীক আগুন
কখনো আছতোনা এখন আছবেনা ফাগ্লুন।
পাড়া শুধু চলছে ধবংশের প্রাপ্তর দিকে
উন্নয়নের সহমমিতা লেছমাত্র নাই চারিদিকে
শুধু যমুনা ভাঙ্গনের মতোই চলছেই ক্রধ।

লেখার তারিকঃ ০২/১০/১২          
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’








একটা অনুভূতি

জন্মের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত
যা চেয়েছিলে সুখ শান্তি কোটিপতি
মন ভরা শুধু হিংসত্ব,ঠিক সেই
ভাবে বিধাতা নিজ হাতে দিয়েছে
সংসার জীবনে নিভির সাফলত্ব।

হয়তো দেখেছি দূর থেকে দূরান্ত
অগুছালো বিষাদ ভরা মনে মত্ত
শতকোটি অনুভূতির একটা অনুভূতি
কখন নারা দিয়েছে কি আপন চিত্তে
এতোটুকু শুধু মনুষ্যতের মর্মত্ব।

হবেই বা কি করে যেখনে আছে
অনাবিল বিত্তসিক্ত রুগ্নোশরীরলে
হয়েছে নাদুছনদুস সুখের দ্বার খুলে
ভুলেই গেছে সূস্টার গভীর প্রেমছিল
সুপ্রভাতের শিশির ভিজা ঘাস সেখনে।  


লেখার তারিকঃ ০৩/১০/১২    
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’










সেই অইলের রাস্তা

সেই সুরু চিকন অইলের রাস্তাটা
ঐ বাড়ী উঠানের কণে ছিল
কি সুন্দর ঝাউগাছের মত বড়ই
গাছটা, কখন বলতাম আমাদের
তমুলকান্ড ঝগড়ায় বলতো বাবুদের।
এরি মাঝে বিষাক্ত ভরা কাটার
সাথে ঝুলতো যে বড়ই শুধু একটা।
এক সময় অইনের রাস্তাটা হলো সুপ্রস্থ
বুক জুরে যেখানে সেখানে থাকতো নরম
দুবলার ঘাস আর দু’ধারে কলা গাছ,
সকাল দুপুর বিকাল সন্ধ্যা চলতাম
হাটতাম বসে দিতাম কত আড্ডা।
ময়নার মায়ের কলা গাছ গুলোকে
বিরত্ত দেখাতে গিয়ে কিলঘুশি লাথি মেরে
রাস্তায় ফেলে দিতাম,গোপনে বলতো কে।
ঘৃণার রস ঝরতো জানি,রাগন্ত বিরক্ত হতে
এটাই ছিল প্রেম পারনি যে বুঝতে
সেই বড়ই গাছের বড়ই লাগে কত মিঠে
ঢেল মারতাম যেয়ে লাগতো গায়ে
কত বকা কত কথা তবুও ছাড়াতামনা
অইলের রাস্তা দিয়ে চলা,আজ শুধু
যমুনার ধু ধু বালিচরের মত ভাকা
স্মৃতির জোয়ারে শৃণ্যটাই যেন ভাটা।

কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’








স্বপ্ন দেখে পুণ্য হতাম

আমি দিবানিশি কতনা স্বপ্ন দেখি
দেখি না শুধু নূরের তৈরি
তোমার মুখ খানি,
গুরু জনের কত না কথায়
তাবিজ বেঁধেছি আজ রাতে
দেখবো তোমার মুখ খানি।

গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকতে থাকতে
কখন যে নিশি প্রহর হলো
দেখি দেখি বলে পেলাম না দেখা
তাই চোখ জুড়ে নেমে এলো শুধু
ঝরনা ধারা কান্না মাখা ভোর।

বাউলের ভাবগম্ভীযে কেউ বলে
দেখ ঐ পূর্ণিমার চাঁদতারার সাথে
নিস্পাপ ফুলের পাপড়ি হয়ে
প্রকৃতির সবুজ অরণ্যের মাঝে মিশে
আছে এই না দিবারজনি।

এই সব মিথ্যে ছলনায় মন মানে না
দয়াল ভাণ্ডারী একবার উপায় বলোনা
আশায় থাকি মরণের আগে যদি দেখিতাম
জীবনটা ধন্য হতো পুণ্য হতাম
স্বপ্ন ঘোরে দেখাও ঐ মুখ খানি।

লেখার তারিকঃ ০৪/১০/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’






দমের রেলগাড়ি

ডেপল তলায়
নীম গাছ ছাঁয়ায়
বসে বসে বসে
ভাবতে ছিলাম
ইঞ্জিনে গ্যাস নাই
কি নিয়ে যাবো
তার বাড়ি।।
মনের ভীতর
ঝিক ঝিক করে
চলছে দমের রেলগাড়ি
এ বুঝি থামবে গাড়ি।।

কোথাও কোন ষ্টেশন নাই
ষ্টেশন শুধু একটাই
চলতে ফিরতে লাইন চ্যুত
হওয়ার ভয় নাই
ষ্টেশন শুধু একটাই।।
সে না স্টেশন পৌঁছাতে
সময় লাগেনা এক সেকেন্ড
স্টেশন মাস্টার চেয়ে আছে
চেক করবে বডি ইঞ্জিন।।

আর কত কাল
শৃণ্য ভবে বসে কার
ধ্যানে কার মগ্নে রঙ্গ
তামাশায় সাজালি বাড়ি।
ইঞ্জিন বডিতে পূর্ণ না
থাকিলে জ্বলতে হবে
জাহান্নাত পারি।।  


লেখার তারিকঃ ০৭/১০/১২
কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’




Lyu‡R wb‡qvI

i“Mœ K‡Úi aŸwY fv‡m my-`~‡i
AvR ¶z`ª cÖvwYwU ej‡Q wK?†kvb
GKUz ïay,Lyu‡R wb‡qvI wPiRxeš—,
Rxebv›` `v‡mi ebjZvi †m‡bi
gjq Kiv my-`„w÷i fvb †_‡K|

iƒcmx evsjvq H MÖv‡gi †g‡Vv
c‡_i a~wjgvLv evjyi we›`yi m‡b,
wKsev †mvbvjx gv‡Vi wkwki †fRv
av‡bi †gŠ †gŠ Kiv MÜ fiv kx‡l,
bq ‡Zv meyR Nvu‡mi wc‡U,†hLv‡b
e‡m †ivR wKQz mgq KvUv‡Z|

AvR A_ev cimy Kvj Luy‡R wb‡qvI
gb †Kvb †ivgv Kiv gyn~©Z ¶‡Y
iex›`ªbv‡_i KweZvq,nvuUz R‡ji gv‡S
wKsev †cÖg ïay †cÖg wQj †hLv‡b|
Avevi nq ‡Zv we‡`ªvn Kwe bRi“‡ji
Zxeª we‡`ªv‡ni KweZvq †Kvb PiY gv‡S|

‡kl ev‡i AvKzwZ my‡i ejwQ †kvb gywo
fvRv i‡Oi gv‡S H mv`v †g‡Ni Wvbv
‡g‡j D‡o hvIqv mv`v e‡Ki cv‡b
gvwUi ey‡K wb`ªvq †Kvb GK K‡Y|


কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’







bv †divi ‡`k

‡gvoM Wv‡K †fv‡i,iw³g m~h© D‡V
w`‡bi cÖLi †iv`ª,ax‡i ax‡i g„`y
kxZj n‡q †Mva~jxi j‡Mœ nq Aemvb|
GKUy ¶‡Y MM‡Y Ryu‡o,jvj‡P iO
Sivq n¨uv,wK gy» Kivi gZ|
`„k¨wU ‡`wL‡Z ‡`wL‡Z hLb Kv‡jv
Avauvi †b‡g,Av‡m,wVK ZLb
Ifviweª‡Ri Dci `uvwR‡q|

j¤^v iv¯—vi gv‡S `‡j `‡j ¶xß MZxi
Mvox¸‡jvi jvj bxj Av‡jv †h‡bv,GK
GKwU Rxeš— `vbe,GK †Qve‡j G mnR
mij cÖvYUv nvwi‡q hv‡e ïay H bv †divi
‡`‡k,bv †divi †`‡ki Av‡jvi †ivgvÂKi
n‡e bv| ‡Kvb †mŠ›`h© gyn~‡Z© ¶Y n‡e bv
ïay Avuav‡ii gv‡S AÜKv‡i GKvZ¡ ‡cÖZZ¥vUv
wKQz PvIqvi Avkvq †P‡q †P‡q _vK‡e|

H `yivš—cbv D‡o Pjv MvsPxj †QvU Po–B
AviI †Mvjv‡ci ey‡K cÖRvcwZi mvZwU
i‡Oi D¾¡j Kivi gv‡S| wK Rvwb Zvi
cvIqvi wQj,ZeyI GKUz gyn~‡Z©i R‡b¨
†c‡jv bv †m|nxivi eybv‡bv ¯^cœ¸‡jv,
†`‡ni i³ gvsm wQbœwfbœ n‡q wQU‡K †M‡jv
Pvicv‡k Kvi A‡PZb K¤ú‡b ey‡Ki wfZi
Kzovj gviv e¨_vi n‡e Abyfe| †K eyS‡e
j¶x mš—vbwU wQU‡K ci‡jv bv †divi ‡`‡k|

কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’





‡mŠ›`h©

Amgvß GB †QvU `ywbqvq
n‡Zv GK mgq †e‡P _vKebv
BwZnv‡mi cvZvq †jLv n‡ebv|
‡K‡bv Rvwb Awb”Qz AbvKvw•LZ
¯^cœ¸wj wb`ªvi `iRvq Kovbv‡o
hvq m¤¢eZ ˆPΠ gv‡mi ewievi
fxlY n‡qwQj gb Rwg‡b mybvwg|
Pvi cv‡k DËß,wbif RjcÖev`
aŸs‡ki gv‡S Zey e‡q hvq †mŠ›`h©|

‡mŠ›`h© bv‡gi A_©Uvq †mŠ›`h©
ZvB M‡o‡Qv Aðh© my‡Li cÖvmv`|
Av‡Q ïay nvnvKvi AbyZß
¯§„wZ gvLv hgybvi Zxeª †mªv‡Z
evjyP‡i meyR k¨vgj gvV cÖv‡š—
û û K‡i D‡V †mB mybvwg‡Z,
fve‡Z wK †`vl e‡jv! †mŠ›`‡h©i
g„a DòZv †j‡M Av‡Q AvRI
wb¯úvc Kgj Aš—i n~`‡qi cv‡b|

g‡b nq fve‡š—i i³ †Kvl ¸‡jv
wQbœwfbœ n‡q †M‡Q H wb`©q gb †_‡K
¶xß Abyiv‡Mi N„Yv¸‡jv, `~wlZ
evZv‡m fvm‡Q ZeyI ‡`wL †mŠ›`h©|


কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’




mgvwai ey‡K ebdzj Nuvmdzj

Avwg Rvb‡ev bv
ZzwgI Rvb‡e bv
Avgvi mgvwai ey‡K
ebdzj Nuvm dzj
‡gŠ †gŠ MÜ Qov‡e||

‡mB †mŠi‡f nq ‡Zv
wegyL n‡q cÖRvcwZ
ebcvwL †kvKvnZ
KvK e‡j WvwK WvwK
SibvivI ïay Si‡e||

AvKvk Ry‡o evZvm e‡n
mey‡Ri AiY¨ †N‡m †`L‡e
ZvivI †`vj‡Q GB c~wY©gv
iv‡Z nq †Zv AeyS
¯§„wZ ¸wj †f‡m DV‡e||

g‡bi N‡i Lyu‡R Avi
bv wn cv‡e Avgvi
mgvwai a~wji evwji
‡Kvb gvqv fiv wPý
nq‡Zv hgybvi †XD‡q||


কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’







welv‡`i ‡avuqv

c~wY©gv wbwk‡Z D`vm
K¬v‡š— Puv` ‡h eo GKv
ci‡Q eywS Kvi A`„k¨ Quvqv,
‡RvbvK¸wj Wv‡K wSwS wSwS
gb Ry‡o kZ †h gvqv|

¯^cœ fiv g‡b Dj­v‡m Zviv
Agvem¨vq nq †h AvZ¥nviv
Quovq cv‡k ïay Avuavi Kv‡jv
eq‡Q ~ïay mybvwgi nvIqv|

myL nvwi‡q c‡_ nBjvg `ytwL
Dcnvi K‡i ïay Aš—‡i ivwL
cÖvYUv Av‡Q h‡Zv w`b
‡cÖg ‡h n‡jv welv‡`i ‡avuqv|


কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’






Awfkß †`n

wK cv‡c wK mv‡c Avwg
nBjvg Awfk‡ß Awfkß,
R¡‡j cy‡o hv‡”Q ‡`n
mvc `sk‡Yi gZ ||

¶gv Ki‡e †K Rvwb bv
bq ‡Zv Avj­vn ivm~j
nq ‡Zv ev AwfkßKvwi
K_vq Av‡Qv AwfkßKvwi
Ki bv Ki bv ¶gv ||

GB Awfkß †`n wb‡q
wKQz‡ZB PvB bv ‡QvU
N‡i wb½Zvq wPi Nygv‡Z
cªvYUv i‡q hv‡e Awfkß
wePvi w`‡b cv‡ev bv ¶gv  ||

কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’









el©vi cv‡q b~cyi ev‡R

hgybvi †cÖghgybvi Nv‡U
RgvU evuav Av‡Q h‡Zv
cyivZb h‡Zv Kó ¶Z
Avevi bv nq bZ~b n‡q
`j †eu‡a wd‡i Av‡mv AvR
el©vi cv‡q b~cyi evwR‡q ||

a~mi Kv‡jv †gN¸‡jv e„wó
Sivq SiS‡i AweiZ
mgq Avi Amgq _v‡gbv
_v‡gbv wSbwSbv el©vi bvP
bvP‡Z bvP‡Z G‡mv G‡mv
el©vi ev`‡j fx‡R hvq‡i||

el©vi ¯§„wZ gvLv evi evi
‡jvbv R‡j eû`y‡i fvmvq
ZeyI kZ cÖkœ _vKv m‡Ë¡I
nvq el©vi AvMgb NUvq
fv½v Qv‡ji UyB eivei
Kfybv dzivq Avb›` Dj­v‡m||

কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’











বন্ধুর প্রাণ ছুঁয়ে যায়

এই সবুজের অপরূপ সমাহার মাঝে
দেখতে পাইতেছি নীল আকাশ,
আকাশ ভরা লক্ষ কোটি তারা,
যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের রূপ
যেনো টলটল করে বয় স্মৃতি ধরা।
আরও কিছু সময় কাটার জন্য
বিনোদনের সেই প্রেমযমুনার ঘাট
বাঙ্গালী নদীর সচ্ছও জলের মাঝে
শাওয়ালারা দোল খেতো দৃষ্টিপরার জন্য
প্রাণ ছুঁয়ে যায় বন্ধু পাশে থাকতে যতন।
কত আনন্দ কত উল্লাস কত উচ্ছাস
আর স্বপ্ন ভাঙ্গা বেদনার হয়েছে সমাধি
কত বুদ্ধি কত না সান্তনা দিয়েছিলে
রাতদুপুর পর্যন্ত,আজ অশ্রু সিক্ত নয়নে
শুধু নুনা জল,পারবোনা ভুলে যেতে
সেই স্মৃতি ক্ষণ বন্ধু পারবো না।আলফির
আগমনে বলেছিলে সব ঠিক হয়ে যাবে
কই আজও কালবৈশাখী বয় তুমি তো না
ফেরার দেশে গেছো সে খবরটাও ওরা
জানায়নি কত নিঠুর কত পাষাণ
বন্ধু তুমি তো হয়েছো নিঃস্বাথবান মহ
আর আমি না কি মানুষ রূপী এক
জানওয়ার বলে ওই নিন্দুকের দল,
বন্ধু রে প্রাণটা যে ছুঁয়ে যায় ।



কাব্যগ্রন্থঃ ঐ নক্ষত্রে মুরাদ/ আলমগীর সরকার ‘লিটন’


No comments:

Post a Comment