Saturday, July 13, 2013

তিন কবিতার কাব্য



শীতলবালির মাঝে ধুধু নিঃঅন্তর
================================

পদ্মার ‘টি’ বাঁধ নয়-নয় কোরতায়ার
নারুলী ব্রিজ-ঐ যমুনার ঝিকমিক বালুচর
কত দেখেছি- খেলেছি বুক বরাবর-
শীতলবালির মাঝে যেন ধুধু (অন্তরহীন)নিঃঅন্তর-
এক দীর্ঘনিঃশ্বাস- মাঝে মধ্যে বয়ে যেত
শনশান আওয়াজে ভাঙ্গন তুলে কি ভয়-
কৃষ্ণচূড়া ফুটা সকালে- পূর্বালী নীল স্রোত    
বালুচর তোরছিল ধুধু(অন্তরহীন)নিঃঅন্তর।
কিনারায় ছিল ঘোন সবুজের কাঁশবন
সাদা সাদা ফুলে দিয়ে যেত শিহরণ-
হরিণী আঁখির মত- দৃষ্টিপাত করেনি
উড়ে যায় গাংচিল-হৃদয় পাঁজরে বসেছিল
চুমুকে স্পর্শ ছোঁয়া-কমল ঠোঁটের নিশান-
তাতেই যেন বড় বড় ঢেউ তুলা গর্জন 
ক্লান্তি দেহে গাংচিল খুঁজেছে ঘামহীন অন্তর।
তারা খেয়ে-কেন বার বার ফিরে আসা
বুঝেনি যমুনা- খরা রোদ্রে পুড়ে যাওয়া
লম্বা ডানায় উড়াল দিবার নাই সান্ত্বনা
অভয় জলে ডুব দিয়ে যাই বার বার
এটাই যেন তার-একটু সুখ খুঁজে পাওয়া
তাতেই বুঝি বদলাও মৌসুমী মৃদু হাওয়া-
আজো দেখি খাঁখাঁ করছে তোর নিঃঅন্তর। 




যমুনার উত্তাল স্রোত
============
হেলে দুলে হাঁটছি দু’পায়ে
দেহের মাঝে কাঁপন নিয়ে-
বহুদূর ঐ সু-দূর- আর কত
নিরুপায় স্পর্শকাতর হয়ে
টলটল জলে মৃদু ঢেউ তুলে
ঐ যমুনার অথই তীরে।
সহমর্মীতা সহনশীলতার পাখা
মেলে- বাংলার আকাশে বাতাসে
অবিরত বয়ে যাবো ভেসে যাবো
এ ধূসর অবনী- অনন্ততকাল।
যতোই যমুনার উত্তাল ঢেউ উঠুক-
আর হিংসার বলিমাখা স্বার্থের
পূজারিতে ধবংসের ঢিল ছঁড়ুক।
দেখ! ঠিকি একদিন বুঝবে তারা-
থাকুক না যতো অবুঝ ভুলা।
দেখবে যখন দক্ষিণার দ্বার খুঁলা।
আঁধার ভোরে নামবে তখন-
স্বচ্ছ লোণটা মাখা উত্তাল ঢেউ,
ভাসছি দুলে দুলে যমুনার স্রোতে।


   
নিপুণকারু কাজ
==============
সূর্যের কিরণ দেখ সবুজ মেঘের দিন
চাঁদ ভরা রাতে দেখ নীল আর নীল-
এ আইল পাথার জুড়ে দেখ বিচিত্র
অরণ্য ছায়া ঘেরা মায়াবী এক ধরণী।
গ্রাম বল- শহর বল- বল অভয়
জলের বালুচর- সবখানেতে আছে-খুঁজে
নাহি দেখো-নাই বা দিলে প্রস্ফুটন-
নাই বা চিনলে- এ বক্ষ ভরা ধন।
তুমি দেখেছ নিশ্চিয়- জানো কি? ঐ
শামুক ঝিনুকের ভিতর কি? ক্লান্তহীন
ঘামহীন তাদের কি শ্রম-যে শ্রমে হীরা মুক্ত
বিলিন করে- অপরূপ সৌন্দর্য। তুমি তো
হও মুগ্ধ-এ যে নিপুণকারু কাজে এক মেধা
সম্পূর্ণ- চিন্তা নাহি কর।তোমার মাঝে আছে
দেখ- শামুক ঝিনুক চেয়েও- সোনার ধন-
নিঘামে ঝরাও- দেখবে উজ্জ্বল শ্যামল-জয়
হোক- ঘৃষ্টচন্দন ঝরুক- হোক তার পদচরণ।  
====================================
=============================
=====================
=================
============
========
====





    

Wednesday, May 15, 2013

শ্রেষ্ঠমানবী হলো মা




কত না ভাবনার-ক্ষীণ আঁধার শেষে
একটু নিদ্রা যাওয়ার আগে- ভাবু
মনের বাতায়নে- চেয়ে ছিলাম শুধু
চেয়ে ছিলাম-রাসুলের মায়া ভরা
মুখের ছায়া-দেখবো বলে স্বপ্ন ঘোরে-
কেটে গেছে কত ক্ষীপ্ত ভরা প্রহর-
তবুও ভাবনা জুড়ে আশাপ্রদ থাকে।

হঠাত দেখি এক প্রলয় নিশিতে-সমস্ত
দেহটা কাঁপছে আর কাঁপছে- কে যেন
বলে দিচ্ছে- এতো দিন যাহা চেয়েছিলে-
ঐ দেখ- দেখ তারি ছায়া মুখ।বিস্মিত
হয়ে দেখছি-সে যে মায়েরি মমতা ভরা-
মায়া দিয়ে ঘিরা আছে মায়ে মুখ।তাহার

মাঝে লুকিয়ে আছে-রাসুলের পাওয়া সুখ-
বুঝতে করো না একটু ভুল-আল্লাহ্‌ রাসুলের
পরে হলো মা জননী শ্রেষ্ঠ মানবী-ধন্য হও-
ধন্য হইলাম-শ্রেষ্ঠমানবী আমার তোমার মা।
  

লেখার তারিখঃ ১২/০৫/১৩

Saturday, April 20, 2013

বিশটি বছর পর



বিশটি বছর পর 
   ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌    
 
বিশটি বছর ধরে কি দেখছি

আর কি দেখলাম? অভয় অরণ্য যেন

দু’চোখের তারায় করছে ঝলমল-

স্মৃতির বাতায়ন জুড়ে লোনা জল টলমল

বিশটি বছর পর- বিশটি বছর পর

পুকুর ভরা মাছ দেখেছি আর

গোয়াল ভরা গরু ডোল ভরা ধান-

সোনালী পাট আর মরিচ জুড়ে উঠান,

চারিপাশে মুক্ত বাতাস ছিল স্বাধীন-

আঁচল ভরা পাট শাক, লাউ শাক আর

সবুজ আইলের উপর কমলির শাক

বউতার শাক- সে দৃশ্য অদ্ভুত সমীকরণ

বিশটি বছর পর- বিশটি বছর পর

সত্যের ভর করেছিল সরলতার বন্ধন

ভ্রাতৃত্ব ভরা প্রেমছিল-একটুতে খাওয়াত

মুরগ জবায় করা রান- ঝগড়া ঝাটি

হলেও যেন থামতো না কথার ঘ্রাণ

আজ কালের স্রোতে হয়েছে মহাশ্মসান-

দেখছি শুধু রক্ত আর রক্তের বান  

বিশটি বছর পর- বিশটি বছর পর

এ কি দেখছি হিংসার করেছে ভর-

মানুষকে মানুষ ভাবছে না পশুপাখির

মত কাটছে ধর-ধর্ষণের মহড়া হচ্ছে

দিনে কিংবা রাতের গাড়ি বহর- দেখিনি

দেখিনি বিশটি বছর আগে- ত্যাগি হয়েছে

মহ  জাগ্রত হোক সভ্য চেতনার প্রহর- 

আজকের ভোরে দেখবি তুই- কোন এক

নতুন নতুনত্বের রঙ্গিন জীবন বহর-

বিশটি বছর পর-বিশটি বছর পর



লেখার তারিখঃ ২৬/০২/১৩

Friday, April 19, 2013

এসো ব্লগবাড়ি



এসো ব্লগবাড়ি 


                          ১। http://jalchhabibatayan.com/archives/author/aabb5ff
       ২। http://prothom-aloblog.com/blog/asl5sl    
৩। http://www.shobdoneer.com/al57li81
            ৪। http://kobitablog.com/blog/author/sar57ker 
                  ৫। http://blog.seudolab.com/author/sarker-alamgir 



এ ক্ষণে থেকে যদি হারিয়ে যায়

ঐ নীল আকাশে তারার মাঝে-

মৃদুবাতাস হয়ে যদি বয় চারিপাশে

ঠিকি থাকবে-বিশ্ব পাতায় আমার 
ব্লগবাড়ি-এক বার দেখ নিয়- হয়
 তো পাবে ভালোবাসার- এক চিমটি

আনন্দধারার উষ্ণ পরশ- হয় তো

পাবে ঝর্ণাধারার এক নিবর সরস।

করুণার অট্র হাসি আর হাসবে না

অতৃপ্তি আর্তনাদের আওয়াজে-যমুনার

স্রোত আর বইবে না-থর থর করে
কাম্পন হবে-এসো না মোর ব্লগবাড়ি। 
আনন্দ হাসির মাঝে- বাউলার হাহাকার

নীল সাগরের গর্জন শুনতে পাবে- স্বচ্ছ
চিন্তার স্পর্শ পাবে- পাবে না অহংকারের
আগ্নেগির প্রলয় শিখা- তীব্র ঘতি টর্নেডো।
 











লেখার তারিখঃ ২০/০৪/১৩